তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ৭ ডিসেম্বর বহরমপুর গ্রান্ট হলে এক মহতী গণকনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীণ চিকিৎসক আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তনী ডাঃ শান্তনু ঘোষ প্রারম্ভিক ভাষণ দেন। বক্তব্য রাখেন জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক, আর জি কর-এর আর এক প্রাক্তনী ডাঃ আসিফ কামাল। মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের কলকাতা জেলার যুগ্ম-সম্পাদক ডাঃ কবিউল হক তিলোত্তমার হত্যা, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দুর্নীতি ও সাম্প্রতিক অভূতপূর্ব আন্দোলন নিয়ে আবেগদীপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব সীমা সরকার, প্রবীণ অ্যাডভোকেট শ্যামলিমা সরকার, কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রাক্তনী শুভ্রশান্তি সিনহা, সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের প্রবীণ নেতা ধীরাজ কুমার সরকার, বিজ্ঞান আন্দোলনের সংগঠক সমীর নাগ, সমাজকর্মী বিদেশ মণ্ডল প্রমুখ। বক্তারা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে রাখার আবেদন রাখেন। লড়াই-এর পথে থাকার অঙ্গীকার করেন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের বিএসসি নার্সিং এর ছাত্রী আলিশা মণ্ডল। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন জেলার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ খালেদ নৌমান। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক বিপ্লব বিশ্বাস।
এ দিন ‘ঝড়’ পত্রিকার উদ্যোগে আর জি কর আন্দোলনের একটি সংকলন ‘বিচার পথের সহযাত্রী’-র প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ অধ্যাপক আবুল হাসনাত বক্তব্য রাখেন। আগামী সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কমিটির প্রস্তাব করেন সমাজকর্মী স্নিগ্ধা সেন। কনভেনশনে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন নমিতা মণ্ডল, সুমন সরকার ও সুলেখা বসাক। ‘তিলোত্তমা আমরা আজও হারিনি, তিলোত্তমা আমরা পথ ছাড়িনি’– এই দীপ্ত ঘোষণায় শহরের বিশিষ্ট নাট্যদল ‘রণ’ ফিনিক্স নাটকটি পরিবেশন করে। কনভেনশন থেকে স্পষ্ট হয়–সৌমিত্র বিশ্বাস থেকে তিলোত্তমা, ন্যায়বিচারের দাবিতে পথের লড়াই-ই শেষ কথা।