পাঁশকুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৬ জুন মাইকে ঘোষণা করা হয়, মেদিনীপুর ক্যানেলের দুই পাড়ে সরকারি সেচ দপ্তরের জায়গায় বসবাসকারী সমস্ত মানুষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উঠে যেতে হবে। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ফতোয়ার পরই এলাকায় বসবাসকারী পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
২৮ জুন পাঁশকুড়া পৌরসভায় বস্তি উন্নয়ন কমিটির ডাকে সহস্রাধিক মানুষ বিক্ষোভ দেখান ও গণডেপুটেশন দেন। তাঁরা পৌরসভার সামনে স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
প্রমীলা জানা, ইশানা বিবি, রূপালী আচার্য, মঞ্জুরা বিবিরা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। মজুর খেটে, লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাই। আমাদের জমি জায়গা নেই। ক্যানেল পাড় থেকে উচ্ছেদ করলে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমরা কোথায় যাব। যে কোনও মূল্যে আমরা এই উচ্ছেদ রুখব। পৌরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন ডেপুটেশন গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এখনই কোনও উচ্ছেদ হবে না। আগে সার্ভে করা হবে। উচ্ছেদ করতে হলে আগে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন দীপঙ্কর মাইতি, লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা, কার্তিক বর্মন, বিনয় শাসমল, সিক্তা মাজি প্রমুখ।