৯ জানুয়ারি কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটি, অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠন ও কৃষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বানে পাঁচ শতাধিক কৃষকের উপস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমানের টাউন হলে। উপস্থিত ছিলেন কৃষক আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা শঙ্কর ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক গোপাল বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন দনা গোস্বামী। বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও কৃষকদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশের ৭০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভর করে তাঁদের জীবন যাপন করেন। কৃষকরা দেশে খাদ্য স্বয়ম্ভরতার কারিগর। অথচ তারাই আজ চরম দুর্দশায় ধুঁকছে। সার, বীজ, কীটনাশক, বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেচের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। নেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। এর উপর আছে ফসলের ‘অভাবি বিক্রি’। ফসলের উপযুক্ত দাম না পেয়ে এবং ঋণের দায়ে প্রতি বছর হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে সরকার সম্প্রতি কর্পোরেটদের ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করে দিয়েছে কর্পোরেটদের স্বার্থে একটার পর একটা জনবিরোধী কৃষিনীতি কার্যকর করে চলেছে। বিদ্যুতে একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থে স্মার্ট মিটার চালু করছে। এই নীতির বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ, কৃষি ঋণ ও কৃষিবিদ্যুৎ বিল মকুব, সারের কালোবাজারি রোধ, ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিদের ১০০ শতাংশ বিমার টাকা দেওয়া, পর্যাপ্ত সেচের জল সরবরাহ, চাষের সময় সাব-মারসিবলগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা সহ বিভিন্ন দাবিতে ব্লক, মহকুমা ও জেলা স্তরে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। গড়ে তোলা হচ্ছে গ্রামে গ্রামে কৃষক কমিটি। কনভেনশন থেকে অনিরুদ্ধ কুণ্ডু ও দনা গোস্বামীকে যুগ্মআহ্বায়ক করে একটি আন্দোলন পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। এর আগে বর্ধমান স্টেশন থেকে সুসজ্জিত মিছিল শহর পরিক্রমা করে টাউন হলে পৌঁছায়।