৫ জুলাই ‘বরুণ বিশ্বাস স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে মিত্র ইনস্টিটিউশন (মেন)–এর সামনে প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস অষ্টম শহিদ দিবস পালিত হয়৷ উত্তর ২৪ পরগণার সুটিয়ার বাসিন্দা বরুণ বিশ্বাস ছিলেন নানা সামাজিক কাজে নিবেদিতপ্রাণ৷ খুন, ধর্ষণ, তোলা আদায় সহ নানা অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে শুধু নয়, গরিব দুঃস্থ মানুষের পাশেও তিনি থাকতেন৷ দুঃস্থ ছাত্রদের বিনা পয়সায় পড়াতেন৷ শিক্ষকতার পাশাপাশি এই চরিত্র তাঁকে বিশিষ্ট স্থান দিয়েছে৷ পূর্বতন সিপিএম সরকারের জনবিরোধী কাজ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে তিনি এলাকার মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন৷ শুধু তাই নয়, বর্তমান শাসকদল ঘনিষ্ঠ কায়েমি স্বার্থবাদীদের বিরুদ্ধেও তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন৷ ২০১২ সালের ৫ জুলাই বাড়ি ফেরার পথে গোবরডাঙা স্টেশনে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা৷ বরুণ বিশ্বাসের হত্যার পিছনে যে কায়েমি চক্র কাজ করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানানো হয় এ দিনের সভায়৷
বক্তব্য রাখেন কমিটির সহ সভাপতি শিক্ষক তপন সামন্ত, সভানেত্রী অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার, কমিটির উপদেষ্টা মালবিকা চট্টোপাধ্যায়, কবি আরণ্যক বসু এবং অধ্যাপক শান্তিনাথ ঘোষ৷ সঙ্গীত পরিবেশন করেন অর্চনা ব্যানার্জী৷ আবৃত্তি করেন দেবব্রত ঘোষ৷ কমিটির কোষাধ্যক্ষ জ্ঞানতোষ প্রামাণিক জানান, নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগরের দ্বি–শত জন্মবর্ষ উপলক্ষে কমিটি নানা কর্মসূচি পালন করবে৷