স্কুল চালু হলেও, ‘পাড়ায় শিক্ষালয়ে’ ছাত্রদের খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বও মিড-ডে মিল কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় আড়াই লক্ষ কর্মী কাজ করেন। বাজার করা, রান্না করা, বাসন মাজা সহ সকল কাজই তাঁদের করতে হয়। এর পরেও তাঁরা মাসিক বেতন পান মাত্র ১৫০০ টাকা, তাও বছরে ১২ মাসের মধ্যে ১০ মাস। বেতন বৃদ্ধির দীর্ঘদিনের দাবি আজও উপেক্ষিত। এই কঠিন অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যেও এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিলের প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়েছে। প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বাড়লেও বরাদ্দ কমছে। ফলে কর্মীদের উপর যেমন রান্নার চাপ বাড়ছে, খাদ্যের গুণমানও কমছে।
সংগঠনের উদ্যোগে মিড-ডে মিল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, বরাদ্দ বাড়িয়ে মিড-ডে মিল প্রকল্পকে উন্নত করা, স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে পঠন-পাঠন চালু, ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা সহ ১৩ দফা দাবিতে ৯ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল হয় ও রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয়, দাবি পূরণ না হলে ২২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভ হবে।
গণদাবী ৭৪ বর্ষ ২৭ সংখ্যা ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২