কেন্দ্রীয় বাজেটে মিড ডে মিল খাতে বরাদ্দ কমানোর প্রতিবাদে এআইইউটিইউসি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস ১ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, জনমুখী বাজেটের কথা বলা হলেও, মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১২০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাবৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধির ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মিড ডে মিল প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি পায়। তার জন্য বরাদ্দও বৃদ্ধি করা দরকার।
মিড ডে মিলের খাবার যে কর্মীরা তৈরি করেন, সেই কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত বেতন মাসে মাত্র ১০০০ টাকা। তাও দেওয়া হয় বছরে ১০ মাস। ২০১২-র পর থেকে কেন্দ্র এদের বেতন বৃদ্ধি করেনি। এ রাজ্যে মিড ডে মিল কর্মীদের বেতন মাসে ১৫০০ টাকা। ২০১৩ সালের পর এক পয়সাও বাড়েনি। কিন্তু তামিলনাড়ুর মিড ডে মিল কর্মীরা পান মাসে ১০০৮৩ টাকা, কেরালায় পান ৯৫০০ টাকা, হরিয়ানায় পান ৭০০০ টাকা। শুধু তাই নয়, মিড ডে মিল কর্মীরা রান্না করলেও তাঁদের সেখান থেকে খাওয়ার কোনও আইনসঙ্গত অধিকার নেই।
মিড ডে-মিল প্রকল্পে বরাদ্দ কমানোর তীব্র বিরোধিতা করে এআইইউটিইউসি দাবি জানিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী সহ মিড ডে মিল কর্মীদের পুষ্টিকর খাবার ও কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাজেটে মিড ডে-মিল প্রকল্পের বরাদ্দ কমানোর প্রতিবাদে এআইইউটিইউসি অনুমোদিত সারা বাংলা মিড ডে-মিল কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু করে লেনিন সরণির মোড় অবরোধ করে বাজেটের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। অগ্নি সংযোগ করেন ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক সুনন্দা পণ্ডা। ওই দিন রাজ্যপালের দপ্তরেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি সনাতন দাস, রাজ্য সম্পাদক সুনন্দা পণ্ডা ও শিবানী মজুমদার।