পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ কয়েকটি জেলা খরা-কবলিত। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা প্রভৃতি কয়েকটি জেলা বন্যা-কবলিত। আবার মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুর সহ কয়েকটি জেলার বিরাট অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে ফি বছর সর্বস্বান্ত হন হাজার হাজার মানুষ। এই সমস্যাগুলি সমাধানের লক্ষ্যে ৩১ মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদার বিদ্যাসাগর হলে দুই শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষের উপস্থিতিতে একটি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সূর্য প্রধান। মূল প্রস্তাব উত্থাপন করেন উৎপল প্রধান। মূল প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বিশিষ্টদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পঞ্চানন প্রধান, গোপাল বিশ্বাস, নারায়ণচন্দ্র নায়ক। সভা সঞ্চালনা করেন দিলীপ কুণ্ডু।
কনভেনশনে রাজ্য সরকারের ‘নো কস্ট’ পদ্ধতিতে নদী ও খাল সংস্কারের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা হয়। সভা থেকে রাজ্যগতভাবে আন্দোলনের লক্ষ্যে ‘সারা বাংলা বন্যা-ভাঙন-খরা প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের উপর জোর দেওয়া হয়। বর্ষার পূর্বে সেচমন্ত্রীকে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন দেওয়ারও কর্মসূচি গৃহীত হয়।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৩ সংখ্যা ৬ – ১২ জুন ২০২৫ এ প্রকাশিত