এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর পক্ষ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর এগরা মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দাবি করা হয়– কৃষি ফসল ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সকলের জন্য খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ ও ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, সন্তানসম্ভবা মা ও শিশুদের ত্রাণশিবিরে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলির খাল-নালাগুলি সংস্কার করে দ্রুত জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, বাগুই-কেলেঘাই নদী সংস্কার করতে হবে এবং নদীবাঁধের বিপজ্জনক জায়গাগুলি কংক্রিটের করতে হবে, ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ বন্টনে সর্বদলীয় কমিটি করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, স্থায়ীভাবে বন্যা প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অবিলম্বে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অর্থ বরাদ্দ করে শীলাবতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু, ঘাটাল থেকে শ্যামসুন্দরপুর পর্যন্ত নদীবাঁধ উঁচু করে নির্মাণ সহ নদীর দিকের অংশে কংক্রিটের স্ল্যাব বসিয়ে শক্ত করা ও শীলাবতীর সাহেবঘাটে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ সহ ৯ দফা দাবিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি, সাহেবঘাট ব্রিজ নির্মাণ সংগ্রাম কমিটি ও ঘাটাল-শ্যামসুন্দরপুর নদীবাঁধ রক্ষা কমিটি-র যৌথ উদ্যোগে ২২ সেপ্টেম্বর ঘাটালের মহকুমা শাসক ও সেচ দপ্তরের আধিকারিক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, জমা জল দ্রুত নিষ্কাশন, ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২৫ সেপ্টেম্বর এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দলের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। একই দাবিতে তমলুকে ইরিগেশন দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ওইদিনই কোলাঘাট ও ময়না ব্লকের বিডিও-র কাছে দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জেলার বন্যাদুর্গত এলাকাকে বন্যা কবলিত ও জলবন্দি মৌজাকে জলবন্দি মৌজা হিসাবে ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষি সহ সমস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এআইকেকেএমএস এবং পানচাষি সমন্বয় সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর তমলুকের নিমতৌড়ীতে জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয় ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়।