শারদোৎসবের পর করোনা পরিস্থিতি যখন আরও বিপজ্জনক হচ্ছে, সেই সময়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি গোয়েঙ্কা মালিকানাধীন সিইএসসি-র পদাঙ্ক অনুসরণ করে আবারও মাশুল প্রতি ইউনিট ৬.৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭.৩২ টাকা করার দাবি জানিয়ে কমিশনে প্রস্তাব পেশ করেছে। অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ৩ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন,
“যখন মাশুল কমানো, মকুব করা প্রয়োজন, যখন করোনা অতিমারির প্রকোপে ও দীর্ঘ লকডাউনে জনজীবন বিপর্যস্ত, রুজি রোজগার হারিয়ে সাধারণ মানুষ তথা দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক অনাহারে অর্ধাহারে জীবন্মৃত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন, ক্ষুদ্র শিল্প যখন ধ্বংসের মুখে, সেই অবস্থায় নানা অজুহাতে ২০২১ সাল ও পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাদের বিদ্যুতের গড় মাশুল ৬ টাকা ৮৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৩২ পয়সা করার জন্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে আবেদন করেছে। ১৯ অক্টোবর সিইএসসি-ও ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের জন্য মাশুল বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।
আমরা অ্যাবেকার পক্ষ থেকে এসইডিসিএল এবং সিইএসসি-র এই অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অযৌক্তিক দাবির তীব্র নিন্দা করছি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া এবং লকডাউন কালের স্থগিত ইউনিট মকুব করার দাবি জানাচ্ছি। জনসাধারণের নিকট আমাদের আবেদন, বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।”