লকডাউন প্রত্যাহারের পর বিগত ছ’মাস বজবজ-শিয়ালদহ শাখায় ৩২ জোড়া ট্রেনের জায়গায় ১৮ জোড়া চালানো হচ্ছিল। সকাল ১০টা ২৪ এর পর বিকাল ৪টা ১৯-এ চলছিল পরবর্তী ট্রেন। দীর্ঘ সময় ট্রেন না থাকায় যাত্রী সহ রিক্সা চালক, অটো চালক হকার সকলেই চরম অসুবিধায় পড়েন। গড়ে ওঠে নাগরিক প্রতিরোধ (প্রস্তুতি) কমিটি। গণসাক্ষর সংগ্রহ করে বজবজ ও নুঙ্গী স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএমের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সাথে সাথে দীর্ঘদিন বন্ধথাকা বজবজ স্টেশনের দ্বিতীয় গেট যাত্রীসাধারণের জন্য খুলে দাবি জানায় কমিটি। টালিগঞ্জ স্টেশনেও এক সপ্তাহ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্টেশন মাস্টারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ১৪ জানুয়ারি নিউ আলিপুর ও লেক গার্ডেন্স স্টেশন মাস্টারকেও ডেপুটেশন দেয় নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ । অবশেষে ৮ মার্চ থেকে ২৮ জোড়া ট্রেন চালুর ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। বজবজের দ্বিতীয় গেটও খুলে দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত মানুষকে অভিনন্দন জানাতে ১০ মার্চ বজবজ স্টেশন চত্বরে নাগরিক প্রতিরোধ কমিটির সভায় প্রতাপ খাঁড়াকে সভাপতি, সুজয় দাসকে সম্পাদক, সাফিউদ্দিন মোল্লাকে কোষাধ্যক্ষ করে ১৭ জনের কমিটি গঠন করা হয়। অটো চালক ও ট্রেনযাত্রীদের মধ্য থেকে সহসভাপতি এবং সহসম্পাদক নির্বাচন করা হয়। কমিটি ঘোষণা করে যাত্রীদের স্বার্থে আন্দোলনকে শাক্তিশালী করা হবে।