আর জি কর মেডিকেল কলেজে ডাক্তার ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের বীভৎস ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য তথা সারা দেশ এমনকি বিশ্বের দেশে দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবাদে মুখর।
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দিন রাত এক করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে প্রত্যক্ষ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, সকলেই। স্মরণাতীত কালে যা লক্ষ করেনি কেউ। রাজ্যের সমস্ত স্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকরাও জুনিয়র ডাক্তারদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন উপযুক্ত বিচারের দাবিতে।
অন্যদিকে জনজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা বিদ্যুৎক্ষেত্র। সম্প্রতি সিইএসসি-র বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপর এফপিপিএএস নামে বাড়তি বিলের বিশাল বোঝা চাপানো হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিও গ্রাহকদের উপর ফি’ড চার্জ দ্বিগুণ, মিনিমাম চার্জ তিনগুণ করে বিলের বোঝা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ক্ষুদ্রশিল্পে মিনিমাম চার্জ প্রতি কে ভি এ-তে প্রতি মাসে ২০০ টাকা বাড়ানোর ফলেই মূলত সারা রাজ্যে অর্ধেক ক্ষুদ্রশিল্প ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছে। কৃত্রিম মেধার নিয়ন্ত্রণে প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার বাস্তবে গ্রাহকদের টাকা লুট করার ভয়ানক যন্ত্র। ক্ষুদ্রশিল্প গ্রাহকরা এই স্মার্ট মিটার লাগানোর বিরোধিতা করলে লাইন কেটে দেওয়া, পুলিশ কেস দেওয়ার চিঠি দিয়ে জুলুমবাজি চলছে। যদিও গ্রাহক আন্দোলনের চাপে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন স্মার্ট মিটার লাগানোর অনুমোদন দেয়নি। অথচ রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই স্মার্ট মিটার সকল শ্রেণির গ্রাহকদেরই লাগানো হবে। একই সাথে জেলায় জেলায় চলছে লোডশেডিং-লো ভোল্টেজ।
বাস্তবে সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং সর্বোপরি রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের স্বার্থের কোনও তোয়াক্কা করছে না। একচেটিয়া কর্পোরেট হাউসের স্বার্থে রচিত আইন মানতে কার্যত বাধ্য করছে।
১৯ সেপ্টেম্বর ‘কর্পোরেট স্বার্থে গ্রাহকদের উপর জুলুমবাজির আইন মানছি না মানব না’ এই স্লোগানে আইন অমান্য আন্দোলনে বিদ্যুৎগ্রাহকরা সামিল হন। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে বেলা ১ টায় জমায়েতস্থলে সভাপতি ছিলেন অনুকূল ভদ্র। সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাসের বক্তব্যের পর সুশৃঙ্খল মিছিল আইন অমান্য করতে এগিয়ে চলে। প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহক মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে।