প্রবল জনমতের চাপে ১৬ নভেম্বর নবম শ্রেণি থেকে স্কুল খুলছে। কিন্তু প্রাথমিক স্তর সামগ্রিক শিক্ষাক্ষেত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া সত্ত্বেও তা খোলার ব্যাপারে সরকারের কোনও উচ্চবাচ্য নেই। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর পড়াশোনা না চলায় বহু শিশু অক্ষরজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে বলে ইতিমধ্যে সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, বহু শিশুর শিক্ষাজীবন ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও স্কুল চালু না হওয়ায় শিশুদের ভবিষ্যৎ শিক্ষার ভিত গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভয়ানক ক্ষতি হবে। অবিলম্বে প্রাথমিক স্তর থেকে স্কুল চালু করবার দাবিতে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ৮ নভেম্বর সারা বাংলা দাবি দিবস পালন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক, ডি আই, চেয়ারম্যানদের ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ওই দিন সল্টলেক করুণাময়ীতে বিকাশ ভবন থেকে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবন পর্যন্ত শিক্ষকদের মিছিল, মেদিনীপুর শহরে শিক্ষকদের অবস্থান এবং হাওড়া, বাঁকুড়া, বহরমপুর, সিউড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার শহরে প্রতিবাদী মিছিলের মাধ্যমে দাবি দিবস পালন করা হয়।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, ক্লাসের উপযোগী করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ৬ হাজার স্কুলকে ১০৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই টাকা প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তিনি বলেন, অবিলম্বে প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালুর ঘোষণা না হলে সমিতি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। নবান্ন ও উত্তরকন্যা অভিযানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।