কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অন্যান্য জেলার মতো বর্ধমানেও বেশিরভাগ আলুখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় পিঁয়াজ ও অন্যান্য আনাজ৷ সরকারি হিসাব অনুযায়ী আলুর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমি৷ বেশিরভাগ পচে যাওয়া আলুর যেটুকু বাঁচবে তা হবে নিম্নমানের৷ রাজ্য সরকার এখনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেনি৷ সরকার উৎপাদিত আলুর মাত্র ১৫ শতাংশ কেনার কথা বলেছে৷ চাষের সময় যে ঋণ নিয়ে কৃষক চাষ করেছে এই ক্ষতির ফলে সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না৷ সরকার যদি এখনই কৃষি ঋণ মকুব ও ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা না করে, কৃষক আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন৷ এই অবস্থায় এস ইউ সি আই (সি) পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি বিঘা প্রতি ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ, কৃষি ঋণ মকুব, আলুর সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি সহ ৭ দফা দাবিতে জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেন৷ নেতৃত্ব দেন জেলা সম্পাদক কমরেড অনিরুদ্ধ কুণ্ডু৷
পশ্চিম মেদিনীপুর : গড়বেতা, কেশপুর, শালবনি, মেদিনীপুরের সদর ব্লক সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা ৫ মার্চ আলু চাষের ক্ষতিপূরণের দাবিতে জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান৷ এদিন মেদিনীপুর স্টেশন থেকে একটি মিছিল কেরানিতোলা, বটতলা, কলেজ রোড হয়ে কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে৷ এস ইউ সি আই (সি) র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কমরেড নারায়ণ অধিকারী, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড তুষার জানা, কৃষক নেতা কমরেড প্রভঞ্জন জানা মিছিলের নেতৃত্ব দেন৷ দাবি ওঠে অবিলম্বে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কুইন্টাল প্রতি আটশো টাকা দরে আলু কিনতে হবে, এ ছাড়াও অন্যান্য সব্জির যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে সরকারকে দিতে হবে৷ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডি এম দপ্তরে দাবিপত্র পেশ করে৷