প্রতিবাদী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেএফ আই আর দিল্লি পুলিশের

আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে সারা দেশের চিকিৎসকরা রাজপথে নেমেছেন। দিল্লির চিকিৎসকরাও নির্মাণ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ তাঁদের এই জমায়েতে বাধা দেয় এবং ২১ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তুঘলক রোড থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ ও ১৪৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লি এইমস, সফদরজং হাসপাতাল, লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ, রামমনোহর লোহিয়া ও গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতাল এবং মওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।

লক্ষণীয় বিষয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আর জি কর ঘটনার কোনও বলিষ্ঠ প্রতিবাদ না করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীন পুলিশ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে এতটুকু দেরি করেননি। অন্য দিকে এ রাজ্যের বিজেপিও মূল দাবিতে আন্দোলন তীব্র করার পরিবর্তে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার নানা চেষ্টা করছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির রাজ্য শাখার পক্ষ থেকেও এই এফআইআরের কোনও প্রতিবাদ করা হয়নি। তাদের এই আচরণের দ্বারা বিজেপি রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আন্দোলন বিরোধী ভূমিকাকেই শক্তিশালী করল এবং নির্যাতিতা তিলোত্তমার ন্যায়বিচারের দাবির প্রতি অবিচার করল। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বভারতীয় সংগঠন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ভবানীশঙ্কর দাস এই এফআইআর-এর তীব্র নিন্দা করে বলেন, অবিলম্বে এই এফআইআর খারিজ করতে হবে। চিকিৎসকদের ন্যায্য আন্দোলনের ওপর এই আক্রমণ চরম অগণতান্ত্রিক।