পশ্চিমবঙ্গের ১২৬টি পৌরসভায় কর্মরত ১০০০০ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী দীর্ঘ পঁচিশ ছাব্বিশ বছর ধরে পৌর এলাকায় নামমাত্র বেতনে কাজ করে আসছেন। প্রতিটি শিশুর সুরক্ষা ও জননী সুরক্ষা সহ পতঙ্গবাহিত রোগের সচেতনতা এবং বর্তমানে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বর্তমানে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কাজ এই পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েই সরকার কার্যকর করছে। কিন্তু এই পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের দীর্ঘ ৯ বছর এই সরকারের জমানায় কোনও বেতন বৃদ্ধি হয়নি, নেই কোনও অবসরকালীন ভাতা।
১১ ডিসেম্বর পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঘেরাও কর্মসূচি করে, তারপর নবান্ন অভিযান করে ধর্মতলায় অবরোধ করে। এক রাজ্য প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে যান। কালীঘাটের বাসভবনেই পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক কেকা পাল ও পৌলমী করনজাই দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের হাতে তুলে দিয়ে অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর, বেতন বৃদ্ধি ও তিন লক্ষ টাকা গ্র্যাচুয়িটির জাবি জানান। আন্দোলনের চাপে পরের দিন পৌরমন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ও অবসরকালীন ভাতা বিষয়ক নির্দেশনামা দ্রুত প্রকাশের আশ্বাস দেন।
পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সভানেত্রী সুচেতা কুণ্ডু বলেন, সরকার অবিলম্বে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির ন্যায্যতা স্বীকার করে নির্দেশনামা জারি না করলে আন্দোলন তীব্র হবে।