Breaking News

পেট্রোপণ্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, দুর্নীতি, বেকারির প্রতিবাদে ভারত বনধে গ্রেপ্তার এস ইউ সি আই (সি) কর্মীরা

অাসামের শিলচর

তীব্র মূল্যবৃদ্ধি সহ বিজেপি শাসনে জনজীবনের অসহনীয় দুর্দশার বিরুদ্ধে ১০ সেপ্টেম্বর দেশের ২৫টি রাজ্যে এস ইউ সি আই (সি) কর্মীরা বনধের সমর্থনে পিকেটিং, মিছিল, অবরোধ ইত্যাদিতে সামিল হন৷ বিহার, ঝাড়খণ্ড, আসাম, ছত্তিশগড়, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ বহু রাজ্যে পুলিশের বাধা সত্ত্বেও কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান৷ দেশজুড়ে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই বনধে সাড়া দেন৷

হাবড়া, উত্তর ২৪ পরগণা

এ প্রসঙ্গে ওই দিন এক বিবৃতিতে এস ইউ সি আই (সি)–র পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, পেট্রোপণ্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অবিরাম মূল্যবৃদ্ধির চাপে সাধারণ মানুষের জীবন কতটা বিপর্যস্ত, মানুষ কীরকম ব্যাকুল ভাবে বিজেপির অপশাসন থেকে রেহাই চাইছে তার প্রামাণ্য দৃষ্টান্ত হয়ে রইল আজকের বনধে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন৷ সেজন্য রাজ্য কমিটি বাংলার জনগণকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানাচ্ছে৷

বনধের কর্মসূচি বামপন্থী দলগুলির যুক্ত আহ্বানে ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলায় এস ইউ সি আই (সি) কর্মী–সমর্থকরা প্রচারে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ বনধের দিনে সকাল থেকে বনধের সমর্থনে প্রচার চলেছে৷ বাংলার মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছেন৷ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বনধ বিরোধিতার ঘোষণা সত্ত্বেও সকাল থেকেই রাজ্যের মানুষ রাস্তায় বেরোননি৷ সরকারি বাস প্রচুর চালানো হলেও যাত্রীসংখ্যা ছিল নগণ্য৷ বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি রাস্তায় প্রায় চলেনি বললেই হয়৷

এদিন বনধের সমর্থনে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে পুলিশ বিভিন্ন জেলায় এস ইউ সি আই (সি) কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ও তাঁদের গ্রেপ্তার করে৷ কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় ১১৮ জন কর্মী পুলিশি হামলায় আহত হন৷ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ৫২ জন নেতা–কর্মীকে৷

 

কলকাতার হাজরা
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ
বাঙ্গাল‍োর
দিল্লিতে বাম দলগুলির যৌথ ধরনা

(৭১ বর্ষ ৭ সংখ্যা ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)