প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে পেঁয়াজের দাম হয়েছিল ৮০ টাকা কেজি৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা ছুঁল৷ অগ্নিমূল্য পেঁয়াজের ঝাঁজ বাজপেয়ী সরকারের পরাজয়ের ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা নিয়েছিল৷ নরেন্দ্র মোদির সৌভাগ্য, তাঁর শাসনে দাম বাড়ল ভোটের পর৷
শীত আসতে চলেছে৷ এই সময়ে সবজির দাম কমার কথা৷ কিন্তু গত একমাস ধরে দাম বেড়েই চলেছে৷ আলু থেকে সবজি সব কিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া৷ এই দামের অর্ধেকও কৃষকরা পাচ্ছেন না৷ মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে থেকে নামমাত্র মূল্যে কিনে যেমন খুশি দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে৷ কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার এই মর্ধ্যবর্তী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে যে আইনগুলি রয়েছে সেগুলিও প্রয়োগ করছে না কোনও সরকার৷
পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, ভারী বৃষ্টির জন্য নাসিক, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় উৎপাদন মার খেয়েছে৷ তাই দামবৃদ্ধি৷ বাস্তবে এই পিঁয়াজ বড় বড় ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে জলের দামে কিনে গুদামজাত করেছিল৷ তাই এখন চড়া দামে বেচছে৷ তা ছাড়া বাজারে তো পেঁয়াজ মিলছে৷ তা হলে উৎপাদনে ঘাটতি কোথায়? যদি ঘাটতি হয়েও থাকে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে অতি দ্রুত আমদানি করে চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে৷ সরকার কি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে? এসইউসিআই(সি)–র দাবি অবিলম্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে হবে৷ খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসইউসিআই(সি) বরাবরই পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের দাবি জানিয়ে আসছে৷ কিন্তু পূর্বতন কংগ্রেস সরকার, সিপিএম সরকারের মতো বর্তমান তৃণমূল সরকারও এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি কার্যকর করছে না খাদ্যব্যবসায়ীদের স্বার্থে৷ বিজেপি সরকারের ভূমিকাও তাই৷ মূল্যবৃদ্ধির আগুনে জ্বলছে মানুষ, সরকার নীরব দর্শক৷