সম্প্রতি ঝড় ও জলোচ্ছাসে হুগলি ও হলদি নদীর তীরবর্তী হলদিয়া পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন। কয়েক হাজার মানুষ বিপর্যস্ত। ত্রাণশিবিরে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেনি বেশিরভাগ মানুষ। ধান-চাল-সবজি-বরোজ, পুকুরের মাছ, অন্যান্য নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী জলে ভেসে নষ্ট হয়ে গেছে। দূষিত জল জমে আগামী দিনে নানা অসুখের আশঙ্কায় এলাকার নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। দলের বিভিন্ন গণসংগঠন দ্রুত ত্রাণকার্যে নেমে পড়ে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ৩০ মে দলের এক প্রতিনিধি দল হলদিয়া পৌরসভার ২১ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড সহ নানা এলাকা পর্যবেক্ষণ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব মাইতি, হলদিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক নারায়ণ প্রামাণিক, ছাত্র নেতা শ্যামসুন্দর দাস, সংগঠক শম্ভু মান্না প্রমুখ।
দলের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক প্রতিনিধিদল দীঘা, রামনগর, খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, মহিষাদল, তমলুক, কোলাঘাটের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় পানীয় জল, খাদ্য, পুনর্বাসন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বিডিও, এসডিও এবং ডিএম-এর কাছে দলের পক্ষ থেকে সাহায্য ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনলাইন ডেপুটেশন দেওয়া হয় ওই দিনই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও ওই দিন স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই দিন তমলুক শহরের রূপনারায়ণের পাড়ের জলমগ্ন বাসিন্দাদের যে স্কুলের ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল, সেখানে জেলা কমিটির সদস্য জ্ঞানানন্দ রায়ের নেতৃত্বে দলের এক প্রতিনিধিদল দুর্গতদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেন। কোলাঘাট সেচ দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
শিক্ষকরা ত্রাণেঃ প্রাথমিক শিক্ষকরা তমলুক বিধানসভার ধলহরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১০০ জন দুর্গতদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বন্টন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৩১ মে খেজুরি ও হলদিয়ায় দুর্গতদের মধ্যে খাদ্য সহ ত্রাণসামগ্রী বন্টন করা হয়েছে।
ছাত্রদের ত্রাণ বিতরণঃ রামনগর বিধানসভার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় এআইডিএসও-র উদ্যোগে ৩১ মে এলাকার ১০০টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।