পর্যাপ্ত আসন না থাকায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না৷ আবার যারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্কুল খেয়াল খুশি মতো ভর্তি ফর্মের দাম এবং অতিরিক্ত ফি, ডোনেশন আদায় করছে৷ এমতাবস্থায় আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, ফর্মের দাম কমানো, সরকার নির্ধারিত ফি–র অতিরিক্ত টাকা না নেওয়া প্রভৃতি দাবিতে ১১ জুন জেলা স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দেয় এ আই ডি এস ও৷ সেই সঙ্গে ডি আইকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, অর্ধশতাধিক সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তা আটকাতে হবে৷ এই স্কুলগুলি বন্ধ হওয়ার জন্য সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতিই দায়ী৷ সরকার তার পরিকাঠামোকে রুগ্ণ করে যাবতীয় দায়দায়িত্ব অস্বীকার করে দু–ধরনের শিক্ষানীতি কার্যকর করছে৷ একদিকে সরকারি ব্যবস্থা দুর্বল করছে অন্যদিকে শিক্ষাকে ব্যবসায়ীদের অবাধ লুঠের ক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য বেসরকারিকরণের পথকে ত্বরান্বিত করছে৷ প্রাথমিকে পাশ–ফেল না থাকা, শিক্ষায় ফি–বৃদ্ধি, শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় পরিকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে৷
(৭০ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা ২২ জুন, ২০১৮)