পুলওয়ামায় চার বছর আগে নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের উপর জঙ্গি হানায় যে ৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছিলেন তাঁদেরই একজন কেরালার বাসিন্দা ভি ভি বসন্তকুমার। ঘটনার চার বছর পরেও তাঁর স্ত্রী শিনা জানতে পারেননি সে দিন কীভাবে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, আমার স্বামী কেন নিহত হলেন– এটা জানার অধিকার আমার আছে। সেখানে নিরাপত্তায় যদি কোনও গাফিলতি থাকে তা হলে তার জন্য কে দায়ী তা চিহ্নিত করতে হবে। স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে ক্ষোভের সাথে কথাগুলি বলেন তিনি।
কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক, সিআরপিএফ জওয়ানদের নিরাপত্তায় সরকারি গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের ঘটনাকে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কাজে ব্যবহার করেছে। এ প্রসঙ্গে সেনাপত্নীর বক্তব্য, সেদিনের ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, ঘটনার কথা আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি, ঘটনাস্থলে যাওয়ার সুযোগ আমাদের ছিল না। ওই অভিশপ্ত দিনে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা আমাদের জানানো হয়নি। অশ্রুসিক্ত চোখে কথাগুলি বলেন পিতৃহারা দুই সন্তানের জননী। তিনি আরও বলেন, আর যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য দোষীদের শাস্তি হওয়া দরকার। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতার জন্য পরিবারের রোজগেরে মানুষটি মারা যাক– এটা কোনও পরিবারই চায় না।
ওয়ানাড়ের বাসিন্দা শিনা দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে নতুন করে জীবনযুদ্ধে সামিল হয়েছেন। তাঁর অর্ন্তভেদী হাহাকার দেশের মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করলেও প্রধানমন্ত্রীর মৌনতা ভাঙবে কি? এত বড় গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সত্য জানাবেন না কেন?