উচ্ছেদের পর উচ্ছেদ করা হচ্ছে বর্ধমানের হকারদের৷ ১৯৮৬ সালে নটরাজ সিনেমা হল চত্বর থেকে একবার উচ্ছেদ করে প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল রেলওয়ে ওভার ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে৷
সম্প্রতি ওই স্থান থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হল জি টি রোড সম্প্রসারণের জন্য৷ কিন্তু সরকার পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা করল না৷ অবিলম্বে পুনর্বাসনের দাবিতে জনপ্রিয় হকার্স ইউনিয়ন ৩১আগস্ট বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে ৩ ঘন্টা নাগরিক অবস্থানের কর্মসূচি পালন করে৷ অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার, শিল্পী–সাহিত্যিক–সাংস্কৃতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সহ সভাপতি প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্ষিতিশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান শহর বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সম্পাদক শঙ্করীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, শ্রমিক নেতা শান্তি ঘোষ, জনপ্রিয় হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, প্রবীণ সদস্য দশরথ সাউ, রফিক আনসারি বক্তব্য রাখেন৷ তাঁদের দাবি, হকার আইন ২০১৪ প্রয়োগ করে বর্ধমান টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন করতে হবে এবং রেলওয়ে হকারদের এই আইনের অন্তর্ভূক্ত করতে হবে৷ অবস্থানে সভাপতি ছিলেন ইউনিয়নের সম্পাদক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়৷
গৌরীশঙ্কর দাস, খড়গপুর