এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ৩১ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন, সারা রাজ্যের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষের লাগাতার আন্দোলনের চাপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অষ্টম শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রাথমিক স্তর থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তথাকথিত পাড়ায় পাঠশালার প্রহসনই তিনি বহাল রাখলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বয়সের শিশুদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়ার পরামর্শই দিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এই শিশুদের শিক্ষা, স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ ও তার সমস্যার কথা বিবেচনা করা হল না। আমরা দাবি করছি, প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর জন্যই স্কুলের দরজা অবিলম্বে খুলে দিতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের যে ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে যতদূর সম্ভব তা পূরণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এআইডিএসও-এআইএমএসএসের অভিনন্দন: এআইডিএসও-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড মণিশঙ্কর পট্টনায়ক এবং এআইএমএসএসের রাজ্য সম্পাদক কমরেড কল্পনা দত্ত আন্দোলনের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি অর্জিত হওয়ায় ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান। তাঁরা বলেন, পাড়ার শিক্ষালয় নয়, প্রথম শ্রেণি থেকেই স্কুল খোলার পরিকাঠামো তৈরি করুক সরকার। শিক্ষার সম্পূর্ণ আর্থিক দায়ভার সরকারকে গ্রহণ করার দাবি জানান তাঁরা।