পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার নিমতৌড়ির তিনটি পানবাজারে আড়ত ফি হঠাৎ ৫ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১১ ডিসেম্বর পানচাষিরা প্রবল বিক্ষোভ দেখান৷ আড়তদারের দালালরা এক চাষিকে মারধর করলে বিক্ষোভ আরও তীব্র রূপ নেয়৷ তারা ৩ ঘন্টা হাইওয়ে অবরোধ করেন৷ তমলুক থানা থেকে RAF সহ বিশাল পুলিশবাহিনী আসে৷ চাষিদের স্বতঃস্ফূর্ত এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পানচাষি সমন্বয় সমিতির সদস্য গোষ্ঠ কুইল্যা, সামসেদ খান, নরোত্তম জানা আন্দোলনে অংশ নেন এবং আন্দোলনকে সংগঠিত ও সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালনার জন্য কনভেনশন ও জেলাশাসক দপ্তরে ১৩ ডিসেম্বর গণডেপুটেশনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷ ইতিমধ্যে পান ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা তমলুকের সমস্ত পানবাজারগুলি অনির্দিষ্ট কাল বন্ধ করে দেয়৷
১৩ ডিসেম্বর পানচাষিদের বিক্ষোভে দাবি ওঠে, অবিলম্বে পান আড়তগুলি চালু করতে হবে৷ আড়ত কমিশন বাড়ানো চলবে না৷ পানবাজারের ঘুষ, দুর্নীতি, পানগোছ ভেঙে দাম কমানো বন্ধ করতে হবে৷ পানকে কৃষিপণ্য হিসাবে গণ্য করতে হবে৷ সরকারিভাবে পানবাজার করতে হবে, পান সংরক্ষণের জন্য সরকারি হিমঘর বানাতে হবে৷ এই বিক্ষোভ জমায়েতে বক্তব্য রাখেন নন্দ পাত্র, প্রবীর প্রধান, কার্তিক বেরা, কেশবচন্দ্র হাজরা প্রমুখ৷ জেলাশাসকের দপ্তরে দাবিপত্র পেশ করা হয়৷
১৪ ডিসেম্বর এ ডি এম, এস ডি ও, পান ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, পানচাষি সংগঠনের প্রতিনিধি পুলিশ ও জেলা পরিষদের সদস্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ১৫ ডিসেম্বর থেকে সমস্ত পানবাজার খোলার সিদ্ধান্ত হয়৷ বর্ধিত আড়ত কমিশন প্রত্যাহার করা হয়৷