কলকাতার ঋতুরাজ হোটেলে আগুন লেগে ১৪ জন মানুষের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের আবার দেখিয়ে দিল নিরাপত্তার নিয়ম অমান্য করাটা কত বিপজ্জনক হতে পারে। একই সাথে দেখা গেল, কায়েমি স্বার্থের প্রতিভূদের প্রয়োজনে সরকারি নজরদারিতে ঘাটতি কী বিপর্যয় ডেকে আনে।
এ রকমই একটা উদাহরণ কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে পুরনো একটি সিনেমা হলের বিল্ডিংয়ে বিশাল ‘রিটেল স্টোর’। এই ক্ষেত্রে পুরসভার অনুমোদন, দুর্ঘটনার সময় বেরনোর বিকল্প পথ, খোলা জায়গা, আপৎকালীন জলের রিজার্ভার ইত্যাদি না থাকায় কয়েক বছর ধরে দমকলের ছাড়পত্র আটকে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কোনও নিয়ম না মানা সত্ত্বেও বিস্ময়কর ভাবে দমকল ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। ফলে কার্যত সম্ভাব্য জতুগৃহে এই বাজার চলছে। এর যথাযথ তদন্ত এখনই করার দাবি জানাচ্ছি। জনবহুল জায়গায় সুরক্ষিত থাকার অধিকার একটা আবশ্যিক নাগরিক অধিকার। তা থেকে কলকাতার মানুষকে বঞ্চিত করা যায় না।
ছায়া মিত্র, কলকাতা-১