গণদাবীর ১৫ জুলাই সংখ্যাটি পড়ে পত্রিকাটি বর্তমান সময়ে বেশ আপ-টু-ডেট হচ্ছে মনে হল। ‘তেল কোম্পানিগুলির বিপুল মুনাফাই গ্যাসের অগ্নিমূল্যের কারণ’ লেখাটিতে বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণটি তুলে ধরা হয়েছে। তার সাথে সরকারি তেল কোম্পানিগুলিকে ধীরে ধীরে বেসরকারি হাতে বিক্রি করে দেওয়া এবং বেসরকারি মালিকদের ইচ্ছেমতো মূল্যবৃদ্ধি জনগণের নাভিশ্বাসের কারণ হিসেবে সঠিক ভাবেই দেখানো হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে হরিয়ানায় ‘চিরাগ-যোজনার’ প্রসঙ্গে লেখাটিতে কী ভাবে সরকার বেসরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ও বেতন দেওয়ার দায়িত্ব নিজে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা উঠে এসেছে। সরকারি স্কুলে গুরুত্ব না দিয়ে বেসরকারি স্কুলের খরচ কেন সরকার বহন করবে, কী তার গোপন উদ্দেশ্য, তার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে।
অন্য দিকে গরিব মানুষ মোটরভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলে তাতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। গণদাবীতে সে খবরও এসেছে। একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ কোম্পানির অবহেলায়় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গ্রাহক সংগঠনের আন্দোলনের কথা সঠিক ভাবে এসেছে। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইতিহাস লেখায় ব্যগ্রতা নিয়ে লেখাটি সময়পোযোগী। তবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে দাবা খেলা কাশ্মীরে চলছে তা নিয়ে লেখাটিতে একটু পুরনো খবর পরিবেশিত হল। বর্তমান সময়ের নতুন খেলাগুলিকে উল্লেখ করলে প্রাসঙ্গিক হত। আন্দোলনগুলি ছবি সহ এসেছে, তাও বর্তমান সময়ের পরিপূরক। গণদাবী সাপ্তাহিক পত্রিকা হলেও দৈনিক পত্রিকাগুলির মতোই সমাজে জায়গা করে নিচ্ছে।
গোপাল সাহু, বারুইপুর