১৮ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, বাঁকুড়া জেলা কমিটি জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায়। জেলাশাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
ইউনিয়নের দাবি, স্যাটের রায়কে মান্যতা দিয়ে অবিলম্বে বকেয়া সহ কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ দিতে হবে, কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-ডি থেকে কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-সি তে পদোন্নতি ত্বরান্বিত করতে হবে, কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-ডি কর্মচারীদের পিএফ, পেনশন ও অক্ষম কর্মচারীর পোষ্যের চাকর়ি দিতে হবে, কর্মরত অবস্থায় মৃত কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-ডি কর্মচারীর পবিরারের একজনকে কাজ দিতে হবে, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের ১২ ঘন্টার ডিউটি রদ করতে হবে, জুলাই থেকে বকেয়া মাইনে অবিলম্বে প্রদান করতে হবে, মাসে ২৮ দিনের কাজ দিতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে এইচআরএমএস-এর মাধ্যমে মাইনে দিতে হবে। এজেন্সি প্রথা বাতিল করে সমস্ত ডিআরডব্লিউ কর্মীদের সরাসরি দপ্তর থেকে মজুরি প্রদান করতে হবে। গ্রুপ-ডি সহ অন্যান্য পদগুলির দ্রুত পদোন্নতি ও শূন্য পদে লোক নিয়োগ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-ডি থেকে কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-সি তে পদোন্নতির বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের বিষয়গুলি নিয়ে ডিডিএমও-র সাথে কথা বলে সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। এজেন্সির মাধ্যমে যে সব কর্মচারী কাজ করছেন তাদের যাতে এইচআরএমএস-এর মাধ্যমে মাইনে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে তিনি নজর দেবেন বলে জানান। দুই মৃত ও আর্থিক ভাবে দুর্বল কনট্র্যাকচুয়াল গ্রুপ-ডি কর্মচারীর পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি সম্মতি দেন।
জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন কর্মচারীদের এই বঞ্চনা রোধ করতে পারে একমাত্র কর্মচারীদের সংগঠিত আন্দোলন। তিনি সমস্ত কর্মচারীদের আন্দোলনের পতাকাতলে সামিল হওয়ার আবেদন জানান।