পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২৩–২৪ ডিসেম্বর বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলে৷ ১১টি জেলার প্রতিনিধিরা বলেন, আধিকারিকদের প্রবল হুমকির মুখে তাঁদের কাজ করতে হয়৷ গোটা প্রশাসন ডেইলি রেটেড ওয়ার্কার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, পার্টটাইম ওয়াটার ক্যারিয়ার, সুইপার নামক অস্থায়ী কর্মীতে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে, যাদের নূন্যতম মজুরি ও পেনশন নেই৷ লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে না৷ বহু সরকারি কর্মচারী দেড় থেকে দু হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করেন৷ বামফ্রন্ট সরকার স্থায়ী সরকারি চাকরির ধারণাটাই তুলে দিতে কম বেতনের অস্থায়ী চাকরির সূচনা করেছিল৷ তাকেই পাকাপাকি ব্যবস্থাতে পরিণত করেছে বর্তমান সরকার৷ বামফ্রন্ট সরকারের ডিএ না দেওয়ার রেকর্ড বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বহুদিন আগেই ভেঙেছে এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে একটি প্রহসনে পরিণত করেছে৷ এর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন গড়ে তুলতে সম্মেলনের প্রতিনিধিরা শপথ নেন৷ সভাপতিত্ব করেন উদয়শঙ্কর চক্রবর্তী, মধুসূদন ধর এবং সুগত বিশ্বাস৷ অভ্যর্থনা কমিটির পক্ষ থেকে সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ, সভাপতি বেণীমাধব মিত্র, নদীয়াইন্দু বিশ্বাস প্রমুখ প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান৷ সভা থেকে শুভাশিস দাস সাধারণ সম্পাদক, সত্যেন মজুমদার সভাপতি, রাধারমণ দত্ত কোষাধ্যক্ষ সহ ২৬ জনের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠিত হয়৷ এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সুনির্মল দাস, দেবাশিস ব্যানার্জী, দয়াময় ব্যানার্জী, বিদ্যুৎ হালদার, রেখা সাহু, স্বপন দে, পঙ্কজ তাঁতি, লীলা শী, সন্তোষ মহন্ত প্রমুখ৷