চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এক চিঠিতে কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি এলাকায় নিবিড় নজরদারি এবং স্ক্রিনিং চালিয়ে সমস্ত সম্ভাব্য রোগীকে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অধ্যাপক ভি নারলিকর এবং সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার বিজ্ঞান কুমার বেরা করোনা ভাইরাসের সনাক্তকরণ টেস্ট ব্যাপক হারে করার জন্য মহকুমা স্তর পর্যন্ত সরকারি পরিকাঠামো তৈরির দাবি করেছেন। মহকুমা স্তর পর্যন্ত আইসোলেশন ও কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা, জেলায় করোনার জন্য নির্দিষ্ট আইসিইউ, ভেন্টিলেটর মেশিন, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ ইত্যাদির ব্যবস্থা ছাড়া লকডাউনের কোনও কার্যকারিতা থাকবে না বলেই তাঁদের আশঙ্কা।
চিকিৎসক সংগঠন আরও বলেছে, আইসিএমআর যেভাবে ২১ মার্চের গাইডলাইনে প্রবল শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সমস্ত রোগীর করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষা করতে বলেছে তাতে বোঝা যায় করোনা সংক্রমণ ইতিমধ্যেই তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে হাইড্রি’ক্লোরোকুইন ওষুধের সুষ্ঠ সরবরাহ সুনিশ্চিত করা ও কালোবাজারি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সারা দেশজুড়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত। তাই তাঁদের দাবি এই কাজে নিযুক্ত প্রত্যেকের জন্য মাস্ক, গ্লাভস সহ উপযুক্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহের বিষয়টি সরকারকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেখতে হবে। কারণ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হলে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। সকল চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালের কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা করা অথবা তাঁদের পরিবহণের সুষ্ঠ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ডাক্তারদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সজল বিশ্বাস ২৬ মার্চ রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গঠিত টাস্ক ফোর্সে মহামারি বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ভাইরোলজিস্ট এবং মাইক্রোবায়োলজিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। সংগঠনের দাবি এই রোগ প্রতিরোধে বিপর্যয় মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আছে এমন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনকে সামিল করতে হবে।