সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাঁচ দফা দাবি অবিলম্বে পূরণ করার জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল এস ইউ সি আই (সি)। চিঠিতে দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, বারবার নিম্নচাপ জনিত বর্ষণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপন্ন। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, পাঁশকুড়া সমেত সমগ্র শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তীব্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোয়াদিঘী খাল এবং সংলগ্ন নাসা খালগুলির সংস্কার না হওয়ায় জলনিকাশি ব্যবস্থা তীব্র সংকটে। পাট, সবজি, ধান সবই জলের তলায়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষ দুর্ভোগের সম্মুখীন। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ২, ৪, ৫ ও ৬নং অঞ্চল, পিংলা ব্লকের ৭, ৯ ও ১০ নং অঞ্চল জলের তলায় এবং নারায়ণগড় ব্লকের খুড়শী ও কুশবশান অঞ্চল কেলেঘাই নদীর জলে প্লাবিত। স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কেলেঘাই, কপালেশ্বরী ও কাঁসাই নদী এবং তার শাখা খালগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, সন্দেশখালি ব্লকে ধান চাষ ও মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, মিনাখা ও হাড়োয়া ব্লকে মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বসিরহাট পৌরসভায় জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ ওয়ার্ড জলে প্লাবিত। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানা, পাথরপ্রতিমা সমেত বিভিন্ন ব্লকে ধান ও পান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জমা জলে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনে আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি–১) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২) অবিলম্বে ধান, সবজি ও পান চাষিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, ৩) যাদের বাড়ি ভেঙেছে পুননির্মাণের জন্য তাদের আর্থিক সাহায্য দিতে হবে, ৪) নদী বাঁধ যেখানে যেখানে ভেঙেছে তা অবিলম্বে শক্ত করে মেরামত করতে হবে, ৫) সমস্ত প্রকার কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। অন্যান্য যে সমস্ত জেলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।