১৭ জুন উত্তরবঙ্গে রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এস ইউ সি আই (সি) রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ওই দিন এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তরবঙ্গের রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে ৩ জন রেলকর্মী সহ সরকার ৮ জনের মৃত্যুর খবর দিলেও ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, সংখ্যাটা অন্তত ১৫। আহত হয়েছেন ১০০-র বেশি। সিগন্যাল ভেঙে মালগাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে ধাক্কা মারে। একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে এল কী ভাবে, তা আমাদের প্রশ্ন।
একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বুলেট ট্রেন চালানোর স্বপ্ন দেখায়, বন্দে ভারত ট্রেন চালায়, রেল যাত্রীদের সুরক্ষার কথা বলে, অথচ বারবার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দুর্ঘটনা রোধে বহু ঘোষিত ‘কবচ’ ব্যবস্থা কেন আজও সমস্ত লাইনে চালু হল না, তার কোনও উত্তর নেই। উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিবর্তে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে রেল দপ্তর বিপুল অঙ্কের টাকা লাভ করে চলেছে অথচ যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে তারা পুরোপুরি উদাসীন।
দুর্ঘটনার পর সরকার ও রেল দফতর দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়ে ও কিছু টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে দায়িত্ব শেষ করেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতেই থাকে এবং শেষ হয় না মৃত্যুমিছিল। রেলমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। আমরা এই নির্লজ্জ সরকারি উদাসীনতার তীব্র নিন্দা করছি। যাদের গাফিলতির জন্য আজকের দুর্ঘটনা ঘটল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এমন দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধ লাগিয়ে আমাদের দলের কর্মী ও ডাক্তাররা দ্রুত উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন।