উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ আজ ধ্বংসের পথে৷ বিজ্ঞানীরা এর কারণ হিসেবে উন্নয়নের নামে পাহাড়ে অপরিকল্পিত ও বেপরোয়াভাবে ডিনামাইট ফাটানোকে দায়ী করছেন৷ যথেচ্ছভাবে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করা এবং জনজীবনের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে ৫ মার্চ উত্তরাখণ্ডের শ্রীনগর গাড়োয়ালে অনুষ্ঠিত হল এক নাগরিক কনভেনশন৷ সমস্যাগুলি নিয়ে টানা এক মাস শ্রীনগর এবং তার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে নিবিড় প্রচার চলে৷
শ্রীনগরের নগরপালিকা হল কনভেনশনের ১৫ দিন আগে বুক করা সত্ত্বেও বিজেপি পরিচালিত প্রশাসন তা শেষমুহূর্তে বাতিল করে দেয়৷ অন্যত্র এই কনভেনশনকে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা৷ তা সত্ত্বেও শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা কনভেনশনে উপস্থিত হয়ে বিজেপি সরকারের এই কনভেনশন বাতিলের অপচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানান৷
সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সংস্কৃত গবেষক এবং শিক্ষাবিদ ডঃ বিষ্ণুদূত কুক্রেটি৷ রাজ্যের নানা সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক গঙ্গা আসনোরা, উমা ঘিনদিয়াল, অনিল চাঁদ তেওয়ারি, অনিল স্বামী, প্রবীণ শ্রমিক নেতা পিবি ডোয়াল, কুলদীপ রামোলা প্রমুখ৷ প্রধান বক্তা পূর্বতন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে উত্তরাখণ্ডে আন্দোলন গড়ে তোলার আবেদন জানান৷ কনভেনশন পরিচালনা করেন মুকেশ সেমওয়াল৷ আগামী দিনে রাজ্যের নানা নাগরিক সমস্যা নিরসনে আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একটি সুচিন্তিত প্রস্তাব সকলের সমর্থনে গৃহীত হয়৷