রাজ্য সরকারের গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলি কার্যকর করার দায়িত্ব ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারীদের উপর ন্যস্ত। রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ প্রকল্প কার্যকর করতে কার্যত ২৪ ঘন্টাই তাদের নিযুক্ত থাকতে হচ্ছে। এজন্য দু-তিন জনের কাজ একজন কর্মচারীকে করতে হচ্ছে। অথচ জেলায় জেলায় প্রচুর শূন্যপদ, পদোন্নতি থমকে, নিয়োগ নিয়ে ডিএসএসসি-র কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে কর্মচারীদের পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিজীবন, রিক্রিয়েশন– সব কিছুই থেকে তারা বিচ্ছিন্ন। এসব সত্তে্বও পঞ্চায়েত কর্মচারীরা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার। তাঁরা হেলথ স্কিম, ২০১৪-র অন্তর্ভুক্ত নন। ৮-১৬-২৫ বছরের কেরিয়ার অ্যাডভান্স স্কিম (সিএএস) তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। পরিচ্ছন্ন প্রমোশন পদ্ধতি নেই। ছুটির দিনে কাজ করলেও পরিবর্ত ছুটি বা সিসিএল প্রাপ্যের অধিকার তাদের নেই। এমনকী তাদের কর্মচারী হিসাবে পরিচয়পত্র পর্যন্ত নেই। এই সব সমস্যা সমাধানের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির নেতৃত্বে ২৮ জানুয়ারি জেলাশাসক দপ্তরে ডেপুটেশন সংগঠিত হয়।
তার আগে জেলা পরিষদ অফিসের সামনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সভাপতি কমরেড পঙ্কজ তাঁতি ডেপুটেশনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন এবং ইউনিয়নের জেলা সম্পাদিকা কমরেড শম্পা পাল স্মরকলিপি পড়ে শোনান ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
জেলাশাসক এবং ডিপিআরডিও-র অনুপস্থিতিতে ডেপুটি ডিপিআরডিও ডেপুটেশন গ্রহণ করেন। তিনি সমস্যাগুলি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষে যে সব দাবিপূরণ করা সম্ভব সেগুলি পূরণের উদ্যোগ নেবেন এবং রাজ্যের বিষয়গুলি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাবেন। তিনি বিশেষত শূন্যপদ পূরণ ও বদলি নীতির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ডেপুটি ডিপিডিআরডিও-র সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কমরেড শম্পা পাল, কমরেড রাজেশ ঢালি, কমরেড অতনু বিশ্বাস, বিশ্বনাথ মণ্ডল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক কমরেড ইন্দুভূষণ গায়েন।
নদিয়া : কাজের স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা, ভাতা নয়, বেতন, অবসরকালে ৫ লক্ষ টাকা ও পেনশন প্রভৃতি নানা দাবিতে ২৭ জানুয়ারি জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেন নদীয়া জেলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মচারীরা। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কমরেড ইন্দুভূষণ গায়েন, জেলা সম্পাদক কমরেড দেবাশীষ ব্যানার্জী এবং অজয় ঘোষ, শুভেন্দু বিশ্বাস, অমিত কুণ্ডু, হরেকৃষ্ণ মণ্ডল প্রমুখ।