পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্বে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাক্স কালেক্টররা ১৭ জুন কলকাতার রাজপথে মিছিল করলেন। ট্যাক্স কালেক্টররা তীব্র বঞ্চনার শিকার। ২০০৯-এর এপ্রিল থেকে তাঁদের পারিশ্রমিক নির্ধারিত হয় ৭৫০ টাকা, যার মধ্যে ৬০০ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে এবং ১৫০ টাকা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আয় হিসাবে তাঁরা উপার্জন করেন ১৯৮৭ সালের নির্ধারিত হারে আদায়ীকৃত করের উপর কমিশন। অর্থাৎ ট্যাক্স কালেক্টরদের মাসিক উপার্জনের ভিত্তি হল– ১২ বছর পূর্বের নির্ধারিত মজুরি এবং ৩৫ বছর পূর্বের নির্ধারিত কমিশন ব্যবস্থা। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের অধীন ট্যাক্স কালেক্টরদের গড় মাসিক আয় সর্বাধিক ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা মাত্র। এই টাকায় জীবনধারণ সম্ভব? এই বঞ্চনার প্রতিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন।
মাসিক ১০ হাজার টাকা হারে রেমুনারেশন, ৫ লক্ষ টাকা অবসরকালীন অনুদান প্রাদন এবং পুনর্নবীকরণ প্রথার বিলুপ্তি, পেনশন ও সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা সহ ১০ দফা দাবিতে ১৭ জুন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে এসপ্ল্যানেডে ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ দাসের নেতৃত্বে এক সুসজ্জিত মিছিল আয়োজিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সভা হয়। সভাপতি সুনির্মল দাসের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি ইন্দুভূষণ গায়েন এবং সভা পরিচালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সম্পা পাল। বক্তব্য রাখেন হরিপদ হালদার, বীরেন ভৌমিক, প্রফুল্ল মণ্ডল, বৈদ্যনাথ শীল, দিবেন্দু মণ্ডল, আমজাদ আলি চৌধুরী, জয়ন্ত রায়, মুক্তিনাথ ঝা, দীপেন দাস প্রমুখ।