কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে প্রথম সেমেস্টারে ৮৫ শতাংশের বেশি ছাত্র কোনও না কোনও বিষয়ে ফেল করেছে। ফেলের কারণ অনুসন্ধান এবং উচ্চশিক্ষার মর্মবস্তু ধ্বংসের নীল নকশা ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স বাতিলের দাবিতে ৩১ মে এআইডিএসও কোচবিহার জেলা কমিটির পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কোচবিহার স্টেশন চৌপথি থেকে বিবেকানন্দ স্ট্রিট হয়ে স্লোগান মুখরিত দৃপ্ত মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের কোচবিহার জেলার সভাপতি কমরেড কৃষ্ণ বসাক, জেলা সম্পাদক কমরেড আসিফ আলম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলি থেকে শতাধিক ছাত্রছাত্রী মিছিলে অংশ নেন।
কমরেড আসিফ আলম বলেন, ফেল করা ছাত্রদের খাতা বিনামূল্যে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং আগামী বছর বিনামূল্যে সেমেস্টার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, কোচবিহারের মতো প্রান্তিক জেলায় বহু ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের উপর নির্ভর করে পড়াশুনা চালাতে বাধ্য হয়। কোনও বিষয়ে ফেল করলে বা ব্যাকলগ থাকলে সেই ছাত্র বা ছাত্রী আর স্কলারশিপের আবেদন করতে পারবে না। ফলে, স্কলারশিপের অভাবে এই ৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর একটা বড় অংশ তাদের শিক্ষা জীবনে ইতি টানতে বাধ্য হবে। এমনিতেই কলেজগুলিতে ছাত্রহীন অবস্থা, তার উপর এ রকম একটা অবস্থার সৃষ্টি হলে উচ্চশিক্ষার চরম ক্ষতি হবে।