সংবাদপত্রের পাতা থেকে
সারা দেশ আশা করছিল, ৫০০ এবং হাজার টাকার নোট বাতিলের ফলে জাল নোটের রমরমা কমবে৷ কিন্তু ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে প্রায় ২৮ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ যা তার আগের বছরের প্রায় দ্বিগুণ৷ ২০১৬–য় দেশে প্রায় ১৫.৯ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছিল৷ এনসিআরবি–র তথ্য অনুযায়ী নোট বাতিলের পরে জাল নোট কমেনি, বরং বেড়েছে৷
রিপোর্ট জানাচ্ছে, নোট বাতিলের পরে যে–দু’হাজার টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল, ২০১৭ সালে প্রায় ৭৫ হাজারটি সেই নোট জাল হয়েছে৷ বাতিল হয়ে যাওয়া হাজার টাকার নোটও জাল হয়েছে ওই বছর৷ গোটা দেশে বাতিল এক হাজার টাকার নোট জালের সংখ্যা ৬৫, ৭৩১৷ একই ভাবে ৫০০ টাকার নতুন নোটের তুলনায় বেশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ টাকার পুরনো নোট৷
২০১৭ সালে সব চেয়ে বেশি জাল নোট (৮০,৫১৯ টি, টাকার অঙ্কে ন’ কোটি) বাজেয়াপ্ত হয়েছে গুজরাটে৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি (বাজেয়াপ্ত ছ’কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার জাল নোট)৷ ষষ্ঠ বাংলা৷ ২০১৬ সালে বাংলায় প্রায় ২৩ কোটি জাল টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ ২০১৭–য় তা কমে হয়েছে ১৯ কোটি৷ কেন্দ্রের দাবি ছিল, নোট বাতিলের ফলে কালো টাকা এবং জাল নোটের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা যাবে৷ কোণঠাসা করা যাবে জঙ্গিদেরও৷ কিন্তু ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরোর তথ্য বলছে, কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি৷
(আনন্দবাজার পত্রিকা : ২৪.১০.’১৯)