অভাব অনটন-অশিক্ষা-বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছে কৃষক পরিবারগুলো। সার-বীজ-ডিজেল সহ কৃষি উপকরণ অগ্নিমূল্য। জলের দরে ফসল বিক্রি চলছে। একের পর এক চাষে লোকসান। এই যখন অবস্থা তখন উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়া ব্লকের চাষিদের দুর্দশা আরও বাড়াল ফুলকপি চাষ। গাছ হয়েছে, ফুলকপি হয়নি গাছে। মাথায় হাত চাষিদের।
কেন এমন হল? প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না। চাষিদের বক্তব্য বন্ধ্যা বীজ। স্থানীয় চারা ব্যবসায়ীদের চারা ও খোলাপোতা বাজারের বীজ ব্যবসায়ীদের থেকে নেওয়া বীজ এজন্য দায়ী। এই বিপর্যয়ে ক্ষোভে চাষিরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন কপি খেতে। চড়া সুদে ব্যাঙ্ক-সমবায়-বন্ধন ব্যাঙ্ক-স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে প্রচুর টাকা ঋণ করেছেন তাঁরা। কড়া তাগাদা তাদের। সেই ঋণ শোধ হবে কী করে! পরের দফার চাষের খরচ আসবে কোথা থেকে– এই ভাবনায় দিশাহীন চাষিরা। খবর পেয়ে ছুটে যান সেখানে অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠনের জেলা সম্পাদক দাউদ গাজি। শুরু হয় চাষিদের নিয়ে আন্দোলন। ফুলকপিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চাষিরা পোড়া ফুলকপি গাছ হাতে নিয়ে বাদুড়িয়া শহরে মিছিল করে চৌমাথা অবরোধ করেন। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কৃষি দপ্তরের ভিতরে ঢুকে যান চাষিরা এবং স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের দাবি– ক) ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, খ) ঋণমকুব করতে হবে, গ) আগামী ফসল তৈরির উপকরণ ও অনুদান দিতে হবে। কৃষি আধিকারিক এডিএ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন। বিডিও অফিসেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।