মৌলবাদী সমাজপতিদের জারি করা হালালা নিকাহের ফতোয়া মানতে অস্বীকার করে সাহসিকতার নজির সৃষ্টি করেছেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের নাসিমা খাতুন৷ ২৮ জুন বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে প্রায় সহস্র মানুষের উপস্থিতিতে রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতি তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করে৷ তালাকের পরেও সামাজিক বিধান অগ্রাহ্য করে ঘর ছাড়েননি মুর্শিদাবাদের মেয়ে রেহেনা খাতুন৷ স্বামী অন্যত্র চলে গেলে প্রবল দারিদ্রের মধ্যে ৩০ বছরেরও বেশি লড়াই করে তিন সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন৷ রেহানাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ যে বিদগ্ধজদের সাহায্য ও সহযোগিতায় রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতি দীর্ঘ বছর ধরে নির্যাতিতা নারীদের নিয়ে বহুমুখী কাজ করে চলেছে তাঁদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ প্রাক্তন বিচারপতি মলয় সেনগুপ্ত, অধ্যাপক চুনিলাল গুপ্ত, সোমনাথ চক্রবর্তী, শিক্ষাবিদ এস এম জাকি, প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা মণ্ডল, সঙ্গীত শিল্পী অমিত গুপ্ত, অধ্যক্ষ অজয় অধিকারী সহ ২৫ জনকে সংবর্ধিত করা হয়৷ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপিকা সুজাতা দে বসু, আন্দোলন কমিটির সভাপতি ডাঃ আলি হাসান আন্দোলনকে দীর্ঘস্থায়ী করার আবেদন করেন৷ প্রায় ত্রিশজন নির্যাতিতা নারী সভায় তাঁদের জীবনযন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন৷ সম্পাদক খাদিজা বানু তালাক প্রথা, বহুবিবাহ, হালালা নিকাহ নিষিদ্ধ করা এবং উচ্ছেদ হওয়া নারীদের আর্থিক স্বনির্ভরতার দাবি করেন৷
(৭০ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা ৬ জুলাই, ২০১৮)