দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বলেন,
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন ও পুলিশকে ক্রীড়নকে পরিণত করে, সশস্ত্র পেশিশক্তির মাধ্যমে সর্বাত্মক সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনকে সম্পূর্ণ প্রহসনে পরিণত করছে৷ হাতে গোনা নগণ্য সংখ্যক বিডিও এবং এসডিও অফিস ছাড়া সারা রাজ্যের সমস্ত বিডিও এবং এসডিও অফিসগুলিকে সশস্ত্র মস্তানবাহিনী দিয়ে ঘিরে রেখে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছে এবং আমাদের দল এস ইউ সি আই (সি) সহ সমস্ত বিরোধী দলের নেতা–কর্মী ও প্রার্থীদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ চালাচ্ছে৷ কোচবিহার, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়া জেলায় সর্বাত্মকভাবে এবং পুরুলিয়ার কাশীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবার, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া মহকুমায় এস ইউ সি আই (সি) নেতা–কর্মী ও প্রার্থীদের উপর হামলা করা হয়েছে৷ এমনকী হলদিয়া এসডিও অফিসে নন্দীগ্রাম জমিরক্ষা আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা নন্দ পাত্রকে যেভাবে লাঞ্ছনা করা হয়েছে এবং কোচবিহার জেলায় দলের মহিলা প্রার্থীকে জোর করে অটোরিক্সায় অপহরণের অপচেষ্টার সময়ে শালীনতাহানির যে বর্বরতা ঘটেছে তা শাসকদলের গুন্ডাশাহীর এক উৎকট প্রকাশমাত্র৷ এই ধরনের অসংখ্য ঘটনার কিছু এই স্মারকলিপির সাথে পৃথকভাবে দেওয়া হল৷
আমরা ক্ষোভের সাথে এও লক্ষ করছি, পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন দৃঢ় ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর তা প্রত্যাহারের জন্য অযথা দীর্ঘ সময় দেওয়া হয়েছে, যা শাসকদলকে পেশিশক্তির দ্বারা বিরোধী প্রার্থীদের চাপ দিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানোর সুযোগ করে দেবে৷ আমাদের দাবি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন এগিয়ে এনে ১২ এপ্রিল করা হোক৷ আশা করি এ বিষয়ে আপনি কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন৷
৪ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত আর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল৷
70 Year 34 Issue13 April, 2018