নিট পরীক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্ট তাকে মান্যতা দিয়েছে। ১৫৬৩ জন ছাত্রছাত্রীকে দেওয়া গ্রেস মার্ক বাতিল করেছে এবং এদের পুনরায় ২৩ জুন পরীক্ষায় বসতে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এআইডিএসও-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৌরভ ঘোষ ১৪ জুন এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, এ বছর নিটের রেজাল্ট প্রকাশের পর থেকেই দেশের ছাত্র সমাজ এবং শিক্ষাবিদেরা এক গভীর দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ১৫৬৩ জন ছাত্রছাত্রীকে গ্রেস মার্ক দেওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে এই পুরো দুর্নীতিকে বোঝা যাবে না। কারণ পাটনা সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আমরা অদ্ভুতভাবে লক্ষ করলাম, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় সরকার কেউই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগগুলোর কোনও রকম তদন্ত করেনি। উপরন্তু কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে কোনও তদন্ত ছাড়াই দুর্নীতির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাকে আমরা ধিক্কার জানাই।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সমস্ত ছাত্রসমাজের প্রতি আমাদের সংহতি জানিয়ে বলতে চাই, ১৫৬৩ জনের গ্রেস মার্ক বাতিল এবং তাদের পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলা– শুধুমাত্র এতেই ছাত্র সমাজ সন্তুষ্ট নয়। কারণ দুর্নীতি শুধুমাত্র এই ১৫৬৩ জনকে গ্রেসমার্ক দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দুর্নীতির শিকড় আরও গভীরে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ১৫৬৩ জনের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া কোনও সমাধান নয়।
আমাদের দাবি–যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত অভিযোগের উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত তদন্ত না করে কাউন্সেলিং চালিয়ে গেলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে।