সরশুনাঃ কলকাতার বেহালায় সরশুনার শিবরামপুরে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর গ্রুপ’-এর নাগরিকদের উদ্যোগে ২৪ নভেম্বর প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও মতবিনিময় সভা হয়। মোট ৭৩ জন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বহু পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে সভা শোনেন। সুচেতনা সঙ্গীতগোষ্ঠী প্রতিবাদী সঙ্গীত পরিবেশন করে। সভা থেকে ‘তিলোত্তমা নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি’ গঠিত হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন ডাঃ তৃণেশ মণ্ডল।
সভাটি হওয়ার কথা ছিল সরশুনা বয়েজ হাইস্কুলে। টাকা জমা দিয়ে অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের চাপে অনুষ্ঠান শুরুর মাত্র আধ ঘণ্টা আগে স্কুলে সভার পারমিশন বাতিল করতে বাধ্য হন প্রধান শিক্ষক। তৎক্ষণাৎ উপস্থিত নাগরিকদের তৎপরতায় পাশের মাঠে সভার ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘটনা আন্দোলনের পক্ষে এলাকার নাগরিকদের সমর্থনকে আরও দৃঢ় করে। তাঁরা বলেন, সরকার যে নাগরিক প্রতিবাদকে ভয় পাচ্ছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ। কিন্তু এই করে তাঁদের দমিয়ে দেওয়া যাবে না।
রায়দিঘিঃ অভয়ার ন্যায়বিচার, জয়নগর সহ সারা রাজ্যে নারী নির্যাতন-খুন-ধর্ষণের সাথে যুক্ত সমস্ত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারমুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘি ব্যবসায়ী সমিতির হলে এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকদের আহ্বানে ২৩ নভেম্বর এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন আর জি কর আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা, সেখানকার প্রাক্তনী ডাঃ নীলরতন নাইয়া।
তিনি বলেন, অভয়ার মৃত্যু নিছক একটি খুন ধর্ষণের ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যা এবং হুমকি-থ্রেটের অবশ্যম্ভাবী ফল। ডাঃ তারাপদ হালদার, ডায়মন্ডহারবার ক্রিমিনাল কোর্টের অ্যাডভোকেট সুমন সরদার ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখিত দাবিতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ‘ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী-নারী-শিশু সুরক্ষা কমিটি’ গঠিত হয়। কমিটির সভাপতি হিসাবে ডাঃ তারাপদ হালদার এবং যুগ্মসম্পাদক হিসাবে সুমন সরদার ও সন্ন্যাসী হালদার নির্বাচিত হন।
মেদিনীপুর শহরঃ অভয়ার ন্যায়বিচার, সমস্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দুর্নীতি ও থ্রেট কালচার মুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে ১৭ নভেম্বর নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে। শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক, অধ্যাপক, শিক্ষক, আইনজীবী, নাগরিকরা এই কনভেনশনের আহ্বায়ক ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।
কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক জগবন্ধু অধিকারী। জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের দশ জন প্রতিনিধি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন কলকাতায় অনশনকারী চিকিৎসক স্পন্দন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সুরেশ চন্দ্র দাস, অলক হুই, ডাঃ দীপক গিরি, সিস্টার শিউলি দত্ত প্রমুখ।
কনভেনশন থেকে অধ্যাপক সুরেশচন্দ্র দাসকে সভাপতি, ডাঃ দীপক গিরি ও সিস্টার কাকলী রাউৎকে সম্পাদক করে ৩৫ জনের একটি শক্তিশালী ‘সিটিজেন্স ফর জাস্টিস’ কমিটি গঠিত হয়।