প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল চালু, রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করা, নারী নির্যাতন বন্ধ, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বিদ্যুতের মাশুল কমানো, নারী–শিশুপাচার বন্ধ, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে নিহত পরিবারবর্গের সাহায্য ও চিটফান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রভৃতি দাবিতে নবান্ন অভিযান এবং এন আর সি বাতিলের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি পেশের উদ্দেশ্যে ১৩ নভেম্বর কলকাতার হেদুয়া পার্ক থেকে ২৫ হাজার মানুষের মিছিল শুরু হয়৷ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে৷
মিছিল থেকে দু’টি প্রতিনিধি দল নবান্ন ও রাজভবনে যায়৷ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী না থাকায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা ভবনে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবিপত্র গ্রহণ করেন৷ প্রতিনিধিদলে ছিলেন রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য, তরুণ নস্কর, অনুরূপা দাস ও রূপম চৌধুরী৷ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শংকর ঘোষের নেতৃত্বে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে দাবিপত্র পেশ করেন তরুণ মণ্ডল, পঞ্চানন প্রধান ও দেবাশিস রায়৷
ভয়ঙ্কর বেকারি ও আর্থিক মন্দায় বিপর্যস্ত দেশের সাধারণ মানুষের দুর্দশার চিত্র রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরে প্রতিনিধিদল বলেন, এর উপরে এনআরসি–র আক্রমণ ভয়াবহ বিপদ হিসাবে নেমে আসছে৷ অবিলম্বে নাগরিকত্ব প্রমাণের এই পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে৷ রাজ্যপাল এস ইউ সি আই (সি)–র এই বক্তব্যের যৌক্তিকতা অস্বীকার করতে পারেননি৷ তিনি জানান, এই বক্তব্য উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাবেন৷ বিধানসভা ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতিনিধিদল দীর্ঘ সময় ধরে সমস্ত দাবি নিয়ে আলোচনা করে৷ তিনি দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করে মুখ্যমন্ত্রীকে সেগুলি জানাবেন বলেছেন৷ প্রতিনিধিদলকে পার্থবাবু বলেন, চিটফান্ড–ক্ষতিগ্রস্ত এবং বুলবুল ঝড়ে দুর্গতদের নামের তালিকা দিলে তিনি তাঁদের জন্য সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করবেন৷