নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর
ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে
এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
(৩১)
আমূল শিক্ষা সংস্কারে বিদ্যাসাগর
সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দেওয়ার পর বিদ্যাসাগরের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি। দেশীয় সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রাণরসে সঞ্জীবিত হয়ে যাতে সেই ভাষা বিদেশি জ্ঞানভাণ্ডার থেকে সমস্ত সূক্ষ্ম ও জটিল ভাবের প্রকৃত বাহন হয়ে ওঠার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, এই ছিল তাঁর লক্ষ্য। একদিন এই ভাষার উপর নতুন যুগের বাংলা সাহিত্য তার বিচিত্র সম্ভার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে, এই ছিল তাঁর স্বপ্ন।
এই স্বপ্নকে সফল করার কাজে সংস্কৃত কলেজকেই তিনি তার উপযুক্ত মাধ্যম করতে চেয়েছিলেন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৮৫২ সালের ১২ এপ্রিল সরকারের কাছে যে শিক্ষা পরিকল্পনাটি তিনি রেখেছিলেন তা, ‘নোটস অন স্যান্সক্রিট কলেজ’ নামে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। সেটি পড়লে তাঁর শিক্ষাদর্শের সামগ্রিক রূপটির একটি সুন্দর চিত্র পাওয়া যায়। এই পরিকল্পনার যে খসড়াটি পাওয়া যায় আমরা এখানে তা প্রকাশ করলাম।
১। বাংলাদেশে শিক্ষার তত্ত্বাবধানের ভার যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলা সাহিত্য সৃষ্টি করা।
২। যাঁরা ইউরোপীয় আকর থেকে জ্ঞানবিদ্যার উপকরণ আহরণ করতে সক্ষম নন এবং সেগুলিকে ভাবগম্ভীর প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায় প্রকাশ করতে অক্ষম, তাঁরা এই সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারবেন না।
৩। যাঁরা সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী নন, তাঁরা সুসংবদ্ধ প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায় রচনা সৃষ্টি করতে পারবেন না। সেইজন্য সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের ইংরেজি ভাষায় ও সাহিত্যে সুশিক্ষার প্রয়োজন।
৪। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, যাঁরা কেবল ইংরেজি বিদ্যায় পারদর্শী, তাঁরা সুন্দর পরিচ্ছন্ন বাংলা ভাষায় কিছু প্রকাশ করতে পারেন না। তাঁরা এত বেশি ইংরেজিভাবাপন্ন যে তাঁদের যদি অবসর সময়ে খানিকটা সংস্কৃত শিক্ষা দেওয়া যায়, তাহলেও তাঁরা শত চেষ্টা করেও, পরিমার্জিত দেশীয় বাংলা ভাষায় কোনও ভাবই প্রকাশ করতে পারবেন না।
৫। তা হলে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের যদি ইংরেজি সাহিত্য ভালভাবে শিক্ষা দেওয়া যায়, তা হলে তারাই একমাত্র সুসমৃদ্ধ বাংলা সাহিত্যের সুদক্ষ ও শক্তিশালী রচয়িতা হতে পারবে।
৬। পরের প্রশ্ন হল, এই উদ্দেশ্যে সংস্কৃত কলেজে কী ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রববর্তন করা যেতে পারে?
৭। সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের ব্যাকরণে ও সাহিত্যে খুব ভালভাবে শিক্ষা দিতে হবে। সাহিত্যের শিক্ষণীয় বিষয়ের মধ্যে কাব্য, নাটক ও গদ্য সবই থাকবে।
৮। অলঙ্কারশাস্তে্র তাঁদের দু’একখানি ভাল বই পড়ালেই চলবে, যেমন ‘কাব্যপ্রকাশ’ ও ‘সাহিত্যদর্পণ’ গ্রন্থের দু’একটি অধ্যায়।
৯। ব্যাকরণ, সাহিত্য ও অলঙ্কারশাস্ত্র পাঠ করলে ছাত্রদের সংস্কৃত বিদ্যার ভিত দৃঢ় হবে।
১০। স্মৃতিশাস্তে্র এইগুলি পাঠ্য হতে পারে, মনুস্মৃতি, মিতাক্ষরা– দায়ভাগ, দত্তকমীমাংসা ও দত্তকচন্দ্রিকা। এই শাস্ত্রগুলি পাঠ করলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবস্থাদি সম্বন্ধে ছাত্রদের জ্ঞান সম্পূর্ণ হবে।
১১। বর্তমানে গণিতশাস্তে্রর পাঠ্য হল লীলাবতী ও বীজগণিত। গণিতবিজ্ঞানের পক্ষে এই দু’খানি বই যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া এমন এক পদ্ধতিতে বই দু’খানি রচিত– প্রচলিত ছড়া আর্যা ইত্যাদির সাহায্যে– যে আসল বিষয়বস্তু এক-একটি প্রহেলিকা হয়ে উঠেছে। সহজ বিষয় সরল করে না বলার জন্য ছাত্রদের অনেক বেশি সময় লাগে এই বিদ্যা আয়ত্ত করতে। প্রায় তিন চার বছর ধরে তাদের বই দু’খানি পড়তে হয়। বইয়ের মধ্যে দৃষ্টান্ত না থাকার জন্য অনেক ‘সমস্যা’ ছাত্রদের বোধগম্য হয় না। আসল কথা হল, সংস্কৃত-গণিত ছাত্রদের পড়ানোর কোনও সার্থকতা নেই, কারণ এতে ছাত্রদের প্রচুর সময় ও শ্রম অপব্যয় হয়। সেই সময়টুকু তারা অন্য প্রয়োজনীয় বিষয় পড়তে পারে।
১২। সেইজন্য সংস্কৃতে গণিতশিক্ষা না দেওয়াই বাঞ্ছনীয় ।
১৩। এ থেকে এ কথা বুঝলে ভুল হবে যে আমি শিক্ষার ব্যাপারে গণিতবিদ্যার যথাযথ গুরুত্ব দিই না। তা আদৌ ঠিক নয়। আমি শুধু বলতে চাই যে সংস্কৃতের বদলে ইংরেজির মাধ্যমে গণিতবিদ্যার শিক্ষা দেওয়া উচিত, কারণ তাতে ছাত্ররা অর্ধেক সময়ে দ্বিগুণ শিখতে পারবে।
১৪। হিন্দু-দর্শনের ছয়টি উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায় আছে– ন্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য, পতঞ্জল, বেদান্ত ও মীমাংসা। ন্যায়দর্শনে প্রধানত তর্কবিদ্যা, অধ্যাত্মবিদ্যা এবং মধ্যে মধ্যে কিঞ্চিৎ রসায়ন, আলোকবিদ্যা ও বলবিদ্যা সম্বন্ধে আলোচনা আছে। পতঞ্জল ও মীমাংসা সম্বন্ধেও প্রায় ওই একই কথা বলা যায়। মীমাংসায় উৎসব-পার্বণ এবং পতঞ্জলে ঈশ্বরচিন্তা হল বিষয়বস্তু।
১৫। কলেজপাঠ্য হিসেবে এইসব বিষয় প্রয়োজনীয় কি না, সে সম্বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর ১৮৫০ আমার রিপোর্টে যে মত ব্যক্ত করেছি আজও তাই সমর্থন করি।
১৬। এ কথা ঠিক যে হিন্দু-দর্শনের অনেক মতামত আধুনিক যুগের প্রগতিশীল ভাবধারার সঙ্গে খাপ খায় না, কিন্তু তা হলেও প্রত্যেক সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতের এই দর্শন সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা উচিত। ছাত্ররা যখন দর্শন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তার আগে ইংরেজি ভাষায় তারা যে জ্ঞান অর্জন করবে তাতে ইউরোপের আধুনিক দর্শনবিদ্যা পাঠ করারও সুবিধা হবে তাদের। ভারতীয় ও পাশ্চাত্য দুই দর্শনেই সম্যক জ্ঞান থাকলে, এ দেশের পণ্ডিতদের পক্ষে আমাদের দর্শনের ভ্রান্তি ও অসারতা কোথায় তা বোঝা সহজ হবে। সমস্ত রকম মতামতের দর্শন ছাত্রদের পড়তে বলার উদ্দেশ্য হল, সেগুলি পড়লে তারা দেখতে পাবে কীভাবে এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের মত খণ্ডন করেছে এবং এক দর্শনের পণ্ডিত ভিন্ন দর্শনের ভুলভ্রান্তি দেখিয়েছেন এবং প্রতিপাদ্যের যৌক্তিকতা খণ্ডন করেছেন। সুতরাং আমার ধারণা, সর্বমতের দর্শন পাঠ করবার সুযোগ দিলে ছাত্রদের নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত গড়ে উঠবে। তার সঙ্গে পাশ্চাত্য দর্শন সম্বন্ধে জ্ঞান থাকলে, দুই দর্শনের মধ্যে সাদৃশ্য ও পার্থক্য কোথায় তাও তারা বুঝতে পারবে।
১৭। এই শিক্ষার আর একটি সুবিধা হল এই যে পাশ্চাত্য দর্শনের ভাবধারা আমাদের বাংলা ভাষায় প্রকাশ করতে হলে যে বৈজ্ঞানিক পরিভাষা (টেকনিক্যাল ওয়ার্ড) জানা দরকার, তা পণ্ডিতদের আয়ত্তে থাকবে।
১৮। এ সব বিষয়ে প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য থাকার প্রয়োজন নেই। ছাত্ররা যদি এইগুলি পড়ে তা হলেই যথেষ্ট হবে : ন্যায়দর্শন– গৌতমসূত্র ও কুসুমাঞ্জলি, বৈশেষিক দর্শন– কণাদের সূত্র, সাংখ্যদর্শন– কপিলের সূত্র এবং কৌমুদী, পতঞ্জলদর্শন– পতঞ্জলের সূত্র, বেদান্তদর্শন– বেদান্তসার এবং ব্যাসের সূত্র : প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ, মীমাংসাদর্শন– জৈমিনীর সূত্র। এগুলি ছাড়া ছাত্ররা ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’ পড়বে, কারণ তার মধ্যে সব দর্শনের সারকথা পাওয়া যাবে।
১৯। সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের ব্যাকরণ ও সাহিত্য শ্রেণিতে পড়বার সময় তিনভাগের দুইভাগ সময় সংস্কৃতের জন্য ও একভাগ সময় ইংরেজির জন্য দেওয়া উচিত। অলঙ্কার, স্মৃতি ও দর্শন শ্রেণিতে পড়ার সময় তাদের প্রধান মনোযোগের বিষয় হবে ইংরেজি। অর্থাৎ তিনভাগের দু’ভাগ সময় ইংরেজি বিদ্যার জন্য নিয়োগ করা উচিত।
২০। বর্তমানে সংস্কৃত কলেজের সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় সাহিত্য, অলঙ্কার, গণিত, স্মৃতি, দর্শন ও সংস্কৃত গদ্যরচনা– এই বিষয়গুলি আছে। এইগুলি এইভাবে পরিবর্তন করা যেতে পারে : সাহিত্য ও অলঙ্কার যেমন আছে তেমনি থাকবে। সংস্কৃত-গণিত ও সংস্কৃত গদ্যরচনা বাদ দিতে হবে এবং তার বদলে ইতিহাস, গণিত ও প্রাকৃতিক দর্শন ইংরেজিতে পড়াতে হবে এবং সেইটাই হবে সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার বিষয়। দর্শন শাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র ও অর্থশাস্ত্রও বৃত্তি পরীক্ষার বিষয় হবে এবং প্রতি বছরে একটি করে বিষয় নির্বাচন করা হবে।
২১। দু’জন শিক্ষক নিয়ে বর্তমানে যে ইংরেজি বিভাগ আছে, তা দিয়ে এই ধরনের শিক্ষা সংস্কার করা অসম্ভব। তা ছাড়া বর্তমান শিক্ষকরা গণিতে এবং বিজ্ঞানে বিশেষ পারদর্শী নন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সংস্কৃত কলেজে এই ধরনের শিক্ষক দিয়ে কোনও কাজ হবে না। তাঁদের যদি অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে, যেখানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার ব্যবস্থা আছে, সেখানে বদলি করে দেওয়া যায়, তা হলে ভাল হয়।
২২। এই বিভাগটি সম্পূর্ণ পুনর্গঠন করতে হবে, চারজন শিক্ষক নিয়ে, যথাক্রমে ১০০ টাকা, ৯০ টাকা, ৬০ টাকা, ৫০ টাকা বেতনে। এই বেতন দিলে ভাল শিক্ষক পাওয়া যেতে পারে। এই ব্যবস্থা করতে হলে ইংরেজি বিভাগের জন্য মাসে ৩০০ টাকা খরচ করা প্রয়োজন।
২৩। সংস্কৃত-গণিত শ্রেণি তুলে দিলে দু’জন শিক্ষক মাসিক ২৫০ টাকা বেতনে ইংরেজি বিভাগের জন্য পাওয়া যাবে। বাকি যে পঞ্চাশ টাকা মাসে লাগবে, তা কলেজের বাৎসরিক গ্র্যান্ট ২৪০০০ টাকা, যা থেকে এখন ১৯০০০ টাকার কিছু বেশি খরচ হয়, তাই থেকেই নেওয়া যেতে পারে।
২৪। যদি শিক্ষা খাতের তহবিল থেকে এই অতিরিক্ত ব্যয় এখন মঞ্জুর করা সম্ভব না হয়, তা হলে অন্য কোনও উপায়ে এই ব্যয় সঙ্কুলানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে। বর্তমানে দু’জন ‘রাইটার’ আছে কলেজে, একজন বাংলার জন্য, একজন নাগরির জন্য। প্রত্যেকের বেতন মাসিক ১৬ টাকা। যে-সব পাণ্ডুলিপি তারা কপি করে তা অপ্রয়োজনীয়। সাধারণত পাণ্ডুলিপিগুলিতে ভুল থাকে যথেষ্ট এবং যতবার সেগুলি কপি করা হয় ততবার ভুল ও ছাড় দ্বিগুণ হতে থাকে। সুতরাং কপিস্টের (অনুলিপিকর) দ্বারা লিখিত পাণ্ডুলিপি আর একবার কপিস্টকে দিয়ে লেখাবার ফলে প্রায় দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। তা ছাড়া যে দু’জন কপিস্ট সংস্কৃত কলেজে আছে, তারা মাসে পাঁচ-ছয় টাকার মতো কপি করে, অথচ মাসে ৩২ টাকা করে বেতন পান।
এই কপিস্ট দু’জনকে বরখাস্ত করা উচিত এবং তাঁদের বেতনের ৩২ টাকা অন্য ভাল কাজে লাগানো উচিত। ইংরেজি বিভাগের জন্য মাসিক ৮ টাকা করে একটি জুনিয়র বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। যদি ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়, যা আগে উল্লেখ করা হয়েছে, সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত হয়, তা হলে ইংরেজি বিভাগের জন্য আলাদা করে ৮ টাকা বৃত্তির ব্যবস্থা করার দরকার হবে না। দু’জন কপিস্টের ৩২ টাকা এবং বৃত্তির ৮ টাকা যোগ করলে মাসে ৪০ টাকা হতে পারে। আগে যে ৫০ টাকা ঘাটতি পড়ছিল তা থেকে এইভাবে ৪০ টাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সুতরাং বাকি থাকে আর ১০ টাকা মাত্র এবং এই ১০ টাকা কলেজের তহবিল থেকে নিশ্চয়ই পাওয়া যেতে পারে।
২৫। ১৮৫০ সালে আমি যখন এই প্রতিষ্ঠানের কাজে যোগ দিই তখন, সংস্কৃত কলেজের শিক্ষা সংস্কার সম্বন্ধে আমার মতামত আমি একটি রিপোর্টে শিক্ষা সংসদের কাছে জানাই। তারপর কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় আমি আমার আগেকার মতামত কিছু কিছু অদল-বদল করার প্রয়োজনবোধ করেছি। এর থেকে বোঝা যাবে কেন আমার এই পরিকল্পনার সঙ্গে আগেকার পরিকল্পনার খানিকটা তফাত আছে।
২৬। আমার ধারণা, যে সমস্ত বিষয় সংস্কারের কথা আমি এখানে বলেছি, সেগুলি কার্যকর না হলে সংস্কৃত কলেজের কোনও প্রকৃত উন্নতি হবার সম্ভাবনা নেই এবং তার আসল আদর্শকে বাস্তবে রূপায়িত করাও অসম্ভব।
(স্বাক্ষর) ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা
(চলবে)