নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর
ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে৷
(২৬)
কর্মাটাঁড় ও বিদ্যাসাগর
বিদ্যাসাগরের শরীর খারাপ শুনে হাইকোর্টের উকিল শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য একদিন দেখা করতে এলেন তাঁর সাথে, কলকাতায় বাদুড়বাগানের বাড়িতে৷ তিনি বিদ্যাসাগরকে বললেন, ‘কর্মাটাঁড়ে (বর্তমান ঝাড়খণ্ডে) থাকলে তো আপনি ভাল থাকেন৷ কিছুদিন সেখানে গিয়ে থাকুন না৷’ কর্মাটাঁড়ের কথায় বিদ্যাসাগর কিছুক্ষণ নীরব হয়ে গেলেন৷ চোখ তাঁর ছলছল করে উঠল৷ তারপর, নিজেকে কোনও মতে সংবরণ করে তিনি বললেন, ‘আমার যদি অতুল ঐশ্বর্য থাকত তা হলে সেখানে গিয়েই থাকতাম৷ কিন্তু আমার সে ক্ষমতা কই? ওখানে গিয়ে আমি একা খাওয়া–দাওয়া করবো, আর চারদিকে দরিদ্র সাঁওতালরা না খেয়ে মরবে– এ কি সইতে পারি?’ এই বলতে বলতেই বিদ্যাসাগরের চোখ থেকে অঝোরে জল ঝরতে লাগল৷ বাস্তবে, যে হৃদয়বিদারক দারিদ্র্য তিনি কর্মাটাঁড়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখেছেন, তাতে অসহনীয় কষ্ট পেয়েছেন৷
কেউ কেউ এমন মনে করেন, তথাকথিত শহুরে শিক্ষিত ভদ্রসমাজ সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়ে, মানসিক শান্তির সন্ধানে বিদ্যাসাগর কর্মজগৎ থেকে বহু দূরে কর্মাটাঁড়ে চলে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু বাস্তবে, বিদ্যাসাগর সম্পর্কে এ ধরনের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি মেলে না৷
এ কথা ঠিক, বিদ্যাসাগর নানা সময়ে নানা জনের কাছ থেকে আঘাত পেয়েছেন, ঠকেছেন, প্রতারিত হয়েছেন৷ এজন্য তাঁর মনের এক কোণায় যন্ত্রণা জমে ছিল এবং সে যন্ত্রণার কথা কারও কারও কাছে অল্পবিস্তর প্রকাশও হয়েছে৷ কিন্তু সে কারণে জীবনে কোনও দিন এক মুহূর্তের জন্যও নিষ্ক্রিয়–নিস্পৃহ হওয়ার কথা মনে ঠাঁই দেননি তিনি৷ এটা তাঁর অন্যতম এবং অসাধারণ এক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য৷ কোনও কারণেই, কোনও অবস্থাতেই তিনি কর্তব্য থেকে বিরত হননি৷ এর অসংখ্য দৃষ্টান্ত তাঁর জীবনযাপনে রয়েছে৷ এখানে প্রসঙ্গক্রমে দু–একটা স্মরণ করা যেতে পারে৷ বন্ধু দুর্গামোহন দাসকে একটি চিঠিতে বিদ্যাসাগর লিখেছিলেন, ‘‘চেষ্টা বিফল হইয়াছে বলিয়া একেবারে নিরুৎসাহ হইবেন না৷ কত বিষয়ে কত উদ্যোগ করা যায়, কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই সে সকল সফল হইয়া উঠিবে না৷ তাহার প্রধান কারণ এই যে, যাহাদের অভিপ্রায় সৎ ও প্রশংসনীয় এরূপ লোক অতি বিরল এবং শুভ ও শ্রেয়স্কর বিষয়ে বাধা ও ব্যাঘাত জন্মাইবার লোক সহস্র সহস্র৷ এমন অবস্থায় চেষ্টা করিয়া যতদূর কৃতকার্য্য হইতে পারা যায় তাহাতেই সৌভাগ্য জ্ঞান করিতে হয়৷’’ (বিদ্যাসাগর রচনাবলী, পৃ. ১১৬৩)৷ আরেকবার, দেবীপ্রসন্ন রায়চৌধুরীকে বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, ‘‘সৎ কাজ করিবার সময় লোকের নিন্দাকে, লোকের কথাকে ভুলিতে না পারিলে এ পথে যাওয়া ঘোরতর অন্যায়৷’’ (করুণাসাগর বিদ্যাসাগর, ১৩ নং অধ্যায়, পৃ. ২৯৪)৷ ফলে, বিদ্যাসাগরের মতো কর্মনিষ্ঠ মানুষ কয়েকজন ঠগ–প্রতারকের জন্য হতাশ হয়ে কর্মজগৎ থেকে স্বেচ্ছা–নির্বাসন নেবেন, এটা ঘটনা হতে পারে না৷
কর্মাটাঁড়ে বাড়ি কেনার পিছনে বিদ্যাসাগরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সম্ভবত আরও গভীর পড়াশুনা৷ ১৮৫৬ সালে বিধবাবিবাহ আন্দোলন সফল হওয়ার পর থেকে ভারতবর্ষে যথার্থভাবে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাবার জন্য আরও জ্ঞানসাধনার প্রয়োজন অনুভব করছিলেন তিনি৷ কিন্তু নানা কাজে পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছিলেন না৷ তার ওপর, ১৮৬৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক গাড়ি–দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হলেন তিনি৷ তাঁর পরিশ্রম করার অমিত শক্তি অনেকটা খর্ব হয়েছিল তাতে৷ তা সত্ত্বেও প্রায় সমস্ত সামাজিক কাজে বিদ্যাসাগর বিশেষ ভূমিকা পালন করছিলেন৷ কিন্তু পড়াশুনায় ডুবে থাকার আগ্রহ সর্বদা মনে জেগে থাকত৷ মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত (শ্রীম)–কে একবার খুব আক্ষেপ করে বিদ্যাসাগর বলেছিলেন, ‘‘আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে পড়াশুনা করি, কিন্তু কই তা’ হল সংসারে পড়ে কিছুই সময় পেলাম না৷’’
বিপুল প্রতিপত্তির সময়ও কলকাতায় বিদ্যাসাগরের নিজের কোনও বাড়ি ছিল না৷ একটা ভাড়া বাড়িতে থাকতেন৷ সেখানে পড়াশুনার সুবিধা ছিল না, এমনকি বইপত্র রাখারও জায়গা হচ্ছিল না৷ এরকম একটা পরিস্থিতিতে তিনি খোঁজ পেলেন কর্মাটাঁড়ে অল্প দামে একটি বাড়ি বিক্রি আছে৷ এক ইংরেজ মহিলা ওই বাড়িটি বানিয়েছেন৷ এখন তিনি সেই বাড়িটি বিক্রি করে দিয়ে বরাবরের জন্য ইংল্যান্ডে ফিরে যাবেন৷ গাছ–গাছালি ঘেরা নির্জন বাড়িটি দেখে বিদ্যাসাগরের পছন্দ হয়ে গেল এবং তিনি বাড়িটি কিনে ফেললেন (১৮৭৩)৷
বিদ্যাসাগর ভেবেছিলেন মাঝে মাঝে কয়েকদিনের জন্য এখানে থেকে পড়াশুনা আর লেখালিখির কাজ করবেন৷ কিন্তু এখানে এসে তিনি দেখতে পেলেন অন্য এক জগৎ৷ হতদরিদ্র, অসহায়, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের জগৎ থেকে আরও পিছিয়ে থাকা এক জনগোষ্ঠী, কয়েক ঘর বাঙালি এবং সাঁওতাল আদিবাসী৷ চোখের সামনে এই অন্যতর জগৎ দেখে বিদ্যাসাগরের বুক টনটন করে উঠল, চোখের জল সামলাতে পারলেন না তিনি, কেঁদে ফেললেন মানুষগুলির জীর্ণ শীর্ণ রিক্ত চেহারার দিকে চেয়ে৷ তারপর যথারীতি তিনি লেগে পড়লেন ওই মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতে, অন্তত তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে৷ আর, তখনই হয়তো বিদ্যাসাগর মনে মনে বলেছিলেন, পড়াশুনা করার সাধ আর এজন্মে মিটলো না৷ প্রসঙ্গত, ১৮৭৬ সালে কলকাতার বাদুড়বাগানে ছোট্ট একটা দোতলা বাড়ি তিনি কেনেন, বইপত্র রাখার জন্য৷ তাঁর সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার৷ পরবর্তীকালে এই বাড়িতেই তাঁর পরিবার এসে উঠেছিল৷
কর্মাটাঁড়ের বাসিন্দা সাঁওতাল আদিবাসীদের বিদ্যাসাগর হৃদয় উজাড় করে ভালবেসেছিলেন৷ তাদের সম্পর্কে তিনি বলতেন, ‘‘ইহাদের স্বভাব ভাল, ইহারা কখনো মিথ্যা কথা বলে না৷ ইত্যাদি কারণে এখানে থাকিতে ভালোবাসি৷’’ তাঁর ভাই শম্ভুচন্দ্র ১৮৭৫ সালে কর্মাটাঁড়ে গিয়ে থেকেছিলেন কয়েকদিন৷ পরবর্তীকালে শম্ভুচন্দ্র লিখেছেন, ‘‘দাদা (বিদ্যাসাগর) প্রাতঃকাল হইতে বেলা দশ ঘটিকা পর্যন্ত সাঁওতাল রোগীদিগকে হোমিওপ্যাথি মতে চিকিৎসা করিয়া থাকেন এবং পথ্যের জন্য সাগু, বাতাসা, মিছরী প্রভৃতি নিজ হইতে প্রদান করেন৷… পরে পুস্তক রচনায় মনোনিবেশ করিতেন, অপরাহ্ণে পীড়িত সাঁওতালদের পর্ণকুটীরে যাইয়া তত্ত্বাবধান করিতেন৷ তাহাদের কুটীরে যাইলে তাহারা সমাদরপূর্ব্বক বলিত, ‘তুই আসেছিস’ তাহাদের কথা অগ্রজের (বিদ্যাসাগরের) বড় ভাল লাগিত৷’’
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, একদিন সকালে এক সাঁওতাল কিছু ভুট্টা নিয়ে এসে বলল, ‘এনে বিদ্যাসাগর, এগুলো রেখে পাঁচগণ্ডা পয়সা দে আমায়৷ নইলে আমার ছেলের চিকিৎসা হবে না৷’ বিদ্যাসাগর ভুট্টা নিয়ে তাকে পয়সা দিলেন৷ এরপর আবার একজন এল ভুট্টা নিয়ে৷ বলল, ‘আমার আটগণ্ডা পয়সা দরকার৷’ বিদ্যাসাগর আবার ভুট্টা নিয়ে পয়সা দিলেন৷ এভাবে আরও কয়েকজন এল৷ হরপ্রসাদ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এত ভুট্টা নিয়ে আপনি কী করবেন?’ বিদ্যাসাগর বললেন, ‘দেখবি রে দেখবি৷’ তারপর হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেলেন৷ খানিকক্ষণ পর হরপ্রসাদ দেখলেন, একটা আলপথ ধরে হনহন করে হেঁটে আসছেন বিদ্যাসাগর৷ তাঁর কপাল থেকে দরদর করে ঘাম পড়ছে, হাতে একটা পাথরের বাটি৷
–কোথায় গিয়েছিলেন এভাবে? বিদ্যাসাগর বললেন, ‘ওই যে এক সাঁওতালী এসছিল৷ বলল, ওর ছেলের নাক দিয়ে হু–হু করে রক্ত পড়ছে৷ তাই ওষুধ দিয়ে এলাম৷’ হরপ্রসাদ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কতদূর গিয়েছিলেন?’ যেন খুব কাছেই, এমনভাবে বিদ্যাসাগর বললেন, ‘মাইল দেড়েক হবে৷’ হরপ্রসাদ অবাক হয়ে গেলেন৷ তারপর দেখলেন, দলে–দলে সাঁওতালরা বিদ্যাসাগরের উঠোনে ভিড় করছে৷ তারা বলছে, ‘বিদ্যাসাগর, খেতে দে৷’ বিদ্যাসাগর সবাইকে সকালের কেনা ভুট্টা পরিবেশন করলেন৷ তারা শুকনো পাতার আগুন জ্বেলে ভুট্টা পুড়িয়ে খেল৷
এই হলেন বিদ্যাসাগর৷ দরিদ্র মানুষকে ভালবাসতে গিয়ে তুলনাহীন হৃদয়বৃত্তির অধিকারী হয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ ইন্দ্র মিত্রের বইতে পাই– ‘‘সাঁওতালদের দু–হাত ভরে দিতেন বিদ্যাসাগর৷ ওষুধ–বিষুধ, কাপড়–চোপড়, চাল–ডাল, থালা–গেলাস–ঘটিবাটি, যে যা চাইত, দিতেন৷ একবার কার্মাটাঁড়ে (ইন্দ্রমিত্র এই বানানই লিখেছেন) পৌঁছতেই তো ছোট–ছোট সাঁওতাল ছেলেমেয়েরা বিদ্যাসাগরকে ঘিরে ধরল– দাদা, আমাদের জন্য কি এনেছিস? আগেই অবশ্যি ওরা বিদ্যাসাগরকে ফরমাস দিয়ে রেখেছে৷ ওদের ফরমাস মাফিক জিনিসপত্র এসেছে তো? আরশি কই? চিরুনি কই? ঘুনসি কই? বিদ্যাসাগর হেসে বললেন– সব এনেছি৷ সব দিচ্ছি৷ একে একে সকলকে দিলেন৷ চিরুনি দিলেন, ঘুনসি পরিয়ে দিলেন৷ তারপর বাগান থেকে গোলাপ ফুল নিয়ে এলেন বিদ্যাসাগর৷ সব মেয়ের মাথায়, কানে গোলাপ ফুল পরিয়ে দিলেন৷ বিদ্যাসাগরের আনন্দ, ওদেরও আনন্দ৷’’
শুধু ছোটদের নয়, যে যা চাইত, ধারদেনা করে হলেও বিদ্যাসাগর তা জোগাড় করার চেষ্টা করতেন৷ কলকাতা থেকে নিজে তাদের জন্য নিয়মিত জামাকাপড়, ফল, ওষুধ ইত্যাদি কিনে নিয়ে যেতেন তিনি৷ ওই হতদরিদ্র মানুষগুলি হয়ে উঠেছিল তাঁর একান্ত আপনজন৷ বলাই বাহুল্য, তাঁর দান কখনই দরিদ্রের প্রতি ধনীর কৃপা ছিল না৷ বরং তা ছিল একজন মানুষ হিসাবে আর্ত–বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আন্তরিক দায়িত্ব–কর্তব্য, যা এড়িয়ে যেতে বিদ্যাসাগরের বুক ফেটে যেত৷ তাই, সাঁওতালরাও তাঁকে আপনার লোক হিসাবে চিনেছিল, হৃদয় দিয়ে বুঝেছিল৷ তারা তাঁকে যখন খুশি বাড়িতে ডাকত৷ বিদ্যাসাগর চলেও যেতেন, মাটিতে বসে পরমানন্দে তাদের সাথে খাওয়া–দাওয়া করতেন, গল্প করতেন৷ তারা বিদ্যাসাগরের কাছে এতটাই নিজের লোক ছিল যে, তিনি তাদের হাতে আলমারির চাবিও দিয়ে দিতেন৷ বলতেন, ‘দেখ কি আছে, কি নিবি নিয়ে যা৷’
আবার, শুধু দানধ্যান নয়৷ তাদের জীবনের যথার্থ উন্নতির জন্য সেখানে স্কুল তৈরি করেছেন বিদ্যাসাগর৷ শ্রমজীবী মানুষের জন্য নৈশস্কুল তৈরি করেছিলেন৷ নিজে থেকে স্কুলগুলির সমস্ত খরচ বহন করেছেন৷ শুধু তা–ই নয়, বাড়ি–বাড়ি যখন তিনি ঘুরতেন তখন ছোট ছোট ঘরোয়া বৈঠক করে বাল্যবিবাহের দোষ, বিধবাবিবাহের প্রয়োজনীয়তা এবং শিক্ষার্জনের গুরুত্ব সহজ সরল ভাষায় আলোচনা করে বোঝাতেন৷ কর্মাটাঁড়ে প্রায় ২৪ জন বাল্যবিধবার পুনর্বিবাহের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য৷
প্রায় সতের বছরের কর্মাটাঁড়পর্ব এভাবেই কেটেছে বিদ্যাসাগরের৷ কোথাও কোনও হতাশা বা মানসিক ক্লান্তির প্রসঙ্গ দেখা যায়নি৷ এই পর্বে তিনি, এমনকি সারা রাত জেগেও, বিস্তর লেখালিখি করেছেন৷ ইংরেজদের সাহায্য ছাড়াই মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন গড়ে তুলেছেন এবং তাকে ক্রমশ বিকশিত করেছেন৷ এছাড়াও অগণিত সামাজিক কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকেছেন৷(চলবে)