নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর
ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে৷
(২৫)
পরিবারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি
গোটা মানবসমাজটাই ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পরিবার৷ কোনও কারণে ব্যক্তিবিশেষকে তিনি কখনও পৃথক করে দেখতে চাননি৷ ব্যক্তিকে দেখার ক্ষেত্রে, নবজাগরণের মূল্যবোধ অনুসারে, চারিত্রিক গুণাবলীকেই তিনি একমাত্র মাপকাঠি ধরে জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত চলবার আন্তরিক প্রচেষ্টা করে গিয়েছেন৷ জন্ম এবং বৈবাহিক সূত্রে পারিবারিক সদস্যদের সাথে তাঁর আদানপ্রদান সেই দৃষ্টান্তমূলক ইতিহাসকেই আরও সুদৃঢ় এবং শিক্ষণীয় ভাবে প্রকাশ করে৷
এ কথা সর্বজনবিদিত যে, বাবা–মা’কে বিদ্যাসাগর অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন৷ তিনি প্রকাশ্যে বলতেন, ‘আমি কাশী মানি না, বিশ্বেশ্বর মানি না৷ আমি মা’কে মানি, বাবাকে মানি৷ আমার বাবা–ই আমার বিশ্বেশ্বর, আমার মা–ই আমার অন্নপূর্ণা৷’ কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই স্মরণে রাখা দরকার, ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবতী দেবী–কে নিছক বাবা–মা হিসেবেই বিদ্যাসাগর শ্রদ্ধা করতেন না৷ বাস্তবে এঁরা দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত কর্তব্যনিষ্ঠ এবং দরদী হৃদয়ের ব্যক্তিত্ব৷ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করে ঠাকুরদাস বিদ্যাসাগরকে সেযুগের সর্বোচ্চ লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন৷ এই প্রবল কষ্ট তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সচ্ছ্বলতার উদ্দেশ্যে নয়৷ কলকাতা শহর থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে গ্রামে গিয়ে স্কুল খুলে বিদ্যাসাগর শিক্ষার প্রসার ঘটাবে, এই ছিল ঠাকুরদাসের অন্যতম লক্ষ্য৷ এই আকাঙক্ষা পূরণের জন্য তিনি বিদ্যাসাগরের প্রতি, বিশেষত তাঁর পড়াশুনার প্রতি সদা সতর্ক থাকতেন, কড়া নজর রাখতেন৷ তাঁর সারাদিনের আচার–আচরণে বা নির্দিষ্ট কোনও কাজে এতটুকু অবহেলা দেখলে ঠাকুরদাস তাঁকে নির্মমভাবে বকাঝকা এমনকি বেধড়ক মারধরও করতেন৷ অনেক সময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসেও ঠাকুরদাসকে নিরস্ত করতে পারতেন না৷
আশ্চর্য ভাবে, এহেন কড়া শাসনের পরেও বিদ্যাসাগর যত বড় হয়েছেন, বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ততই তাঁর বেড়েছে৷ সচরাচর বাবার মত না নিয়ে কাজ করেননি বিদ্যাসাগর৷ আবার, শ্রদ্ধা করতেন বলে প্রয়োজনে বাবার সাথে দ্বিমত হতেও পিছপা হননি৷ বিদ্যাসাগরের পুত্র নারায়ণচন্দ্র ও এক ভাই ঈশানচন্দ্রকে ঠাকুরদাস স্নেহান্ধভাবে প্রশ্রয় দিয়ে ঠিক করছেন না, এতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে– একথা যখন বিদ্যাসাগরের মনে হয়েছে তখন তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তা লিখে চিঠি দিয়েছেন ঠাকুরদাসকে৷
মা ভগবতী দেবী ছিলেন বিদ্যাসাগরের জীবন্ত প্রেরণাস্বরূপ৷ তাঁর প্রতি বিদ্যাসাগরের শ্রদ্ধার অন্ত ছিল না৷ কিন্তু সে কি নিছক তিনি তাঁর মা বলে? একেবারেই তা নয়৷ বিদ্যাসাগর–চরিত লিখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবতী দেবীকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন৷ সেই আলোচনায় ভগবতী দেবী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের একাধিক বিমুগ্ধ উচ্চারণ এক অসাধারণ স্বীকৃতি৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘দয়াবৃত্তি আরো অনেক রমণীর মধ্যে দেখা যায়, কিন্তু ভগবতী দেবীর দয়ার মধ্যে একটি অসাধারণত্ব ছিল, তাহা কোনোপ্রকার সংকীর্ণ সংস্কারের দ্বারা বদ্ধ ছিল না৷’’ কার্যত, ভগবতী দেবী ছিলেন অত্যন্ত সহানুভূতিশীল, নির্ভীক, উদার এক ব্যক্তিত্ব৷ দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষের প্রতি ভালবাসা–দয়া–মায়া প্রভৃতি অনেক গুণই ভগবতী দেবীর প্রভাবেই বিদ্যাসাগর–চরিত্রে সঞ্চারিত হয়েছে৷ বহুল প্রচলিত হলেও, ভগবতী দেবীর প্রসঙ্গক্রমে দু–একটি ঘটনা স্মরণ করা যাক৷
এক দুপুরে তিনি দেখলেন তাঁর ছোট্ট ছেলে ঈশ্বরচন্দ্র পাঠশালা থেকে ফিরেছে অন্য কারও একটা ছেঁড়া ময়লা জামা গায়ে দিয়ে৷ ভগবতী দেবী ভাবলেন, ‘কী ব্যাপার? ছেলে তো পরে গিয়েছিল ভাল একটা জামা’ তিনি খোঁজ নিলেন৷ জানা গেল, বন্ধুর গায়ে ছেঁড়া জামা দেখে বিদ্যাসাগর নিজের জামা খুলে দিয়ে দিয়েছে তাকে৷ আর তার জামাটি গায়ে ফেলে বাড়ি ফিরে এসেছে৷ শোনা মাত্রই ভগবতী দেবী ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, ‘খুব ভাল করেছিস বাবা, খুব ভাল করেছিস৷’
একবার শীতকালে মায়ের গায়ে ছেঁড়া চাদর দেখে বিদ্যাসাগরের খারাপ লেগেছিল৷ টাকাপয়সা যোগাড় করে বিদ্যাসাগর কলকাতা থেকে কয়েকটা গরম জামাকাপড় কিনে গ্রামের বাড়িতে পাঠালেন৷ কয়েকদিন পর ভগবতী দেবী ছেলেকে জানালেন, বাবা, পারলে এইরকম গরম কাপড় আরও কিছু পাঠিও৷ বিদ্যাসাগর একটু কৌতূহলী হয়ে ব্যাপারটা জানতে চাইলেন৷ তিনি শুনলেন, আগের কাপড়গুলি আশপাশে যাদের গরম কাপড় নেই তাদের দিয়ে দিয়েছেন ভগবতী দেবী৷ কিন্তু এখনও কয়েকজন বাকি আছে৷ মা’র মুখটা মনে করে বিদ্যাসাগরের দু চোখের পাতা ভিজে গেল৷ পরদিনই আরও কিছু গরম কাপড় কিনে গ্রামে পাঠিয়ে দিলেন তিনি৷
একবার হ্যারিসন সাহেব বিলেতে ফিরে যাওয়ার আগে বিদ্যাসাগরের গ্রামের বাড়িতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন৷ বিদ্যাসাগর একটু কিন্তু–কিন্তু করেও মা’কে সব জানালেন৷ মা তৎক্ষণাৎ সাহেবকে নিমন্ত্রণ করতে বলে দিলেন৷ বিদ্যাসাগর খুশি হলেন৷ কিন্তু গ্রামের লোকেরা বলাবলি শুরু করল, ‘ইংরেজ সাহেব মানে ম্লেচ্ছ ঢুকবে বামুনের বাড়িতে খেতে? বামুনের জাত যাবে যে’ ভগবতী দেবী এসব সংকীর্ণতায় কোনও তোয়াক্কা করার মানুষ ছিলেন না এবং যথারীতি সেসব করলেনও না৷ নির্দিষ্ট দিনে হ্যারিসন সাহেব এলেন বীরসিংহ গ্রামে৷ ভগবতী দেবীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন৷ তারপর বিদ্যাসাগরের সাথে মাটিতে বসেই তিনি ভগবতী দেবীর রান্না চেয়েচিন্তে তৃপ্তি করে খেলেন৷
একবার, অনেকদিন মা’কে কিছু দেননি বিদ্যাসাগর৷ কথাটা মনে হতেই মা’কে বললেন, ‘তোমার কী চাই বল মা৷’ ভগবতী দেবী গম্ভীরভাবে বললেন, আমার তিনটি দামি গয়না চাই৷ বিদ্যাসাগর একটু অবাক হলেন, মা দামি গয়না চাইছে? তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘কী গয়না চাই, মা?’ ছেলের করুণ দশা দেখে হাসি চাপতে পারলেন না ভগবতী দেবী৷ তিনি বললেন, ‘অবৈতনিক স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয় আর অন্নসত্র– গ্রামে এই তিনটি জিনিস আমার চাই৷’ মায়ের হাসির আলোয় বিদ্যাসাগরের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল৷
বিধবাবিবাহ আন্দোলনের জন্য কেবল বিদ্যাসাগরকে নয়, চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তাঁর বাবা–মা’কেও৷ প্রতিদিন তাঁদের গ্রামের বাড়ির সামনে দুনিয়ার জঞ্জাল ফেলে যেত রক্ষণশীল গোষ্ঠীর ভাড়াটে দুষ্কৃতিরা৷ অথচ পুলিশ তাদের নামধাম চাইলে ঠাকুরদাস কিছুই বললেন না৷ তবু পুলিশ তথ্য যোগাড় করে তাদের ধরবার চেষ্টা করতে লাগল৷ গ্রামের লোক পুলিশের দ্বারা নিগৃহীত হবে দেখে ভগবতী দেবীর মন কেঁদে উঠল৷ তিনি ওই সব লোকগুলির বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিমন্ত্রণ করে এলেন, যাতে পুলিশ মনে করে এরা দোষী নয়৷ লোকগুলিও হাজতবাস থেকে বাঁচতে ভগবতী দেবীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে চলে এলেন এবং ভোজ খেয়ে গেলেন৷ তারপর আর উৎপাত করেনি তারা৷
বিদ্যাসাগর যখন সবেমাত্র বিধবাবিবাহ আন্দোলন শুরু করছেন, তখন কোনো একসময় তাঁর মনে হয়েছিল, বিরোধীদের সাথে লড়ে জেতা যাবে না৷ তখন ভগবতী দেবী বলেছিলেন, ‘‘একবার যখন কাজ শুরু করেছ, তখন সমাজকর্তাদের ভয়ে পিছিয়ে এসো না৷ উপায় একটা বেরোবেই৷ আমি প্রসন্নমনে আশীর্বাদ করিতেছি৷ আহা জনমদুঃখিনীদের যদি কোনো গতি করিতে পারো, তাহা এখনই কর বাবা৷’’ লেখা বাহুল্য, এরপর বাকি ইতিহাসটা বিদ্যাসাগর ঠিকঠাকই লিখে দিয়েছেন৷
নিজের জন্য চিন্তা না করে বিদ্যাসাগর অন্যের বিপদে যেমন সবসময় উদারভাবে সাহায্য করতেন, নিজের ভাই–আত্মীয়দেরও সেভাবে সাহায্য করেছেন৷ একইভাবে, কারও অন্যায় আচরণ দেখলে যেমন তার যথোচিত জবাব দিয়েছেন, আত্মীয়স্বজনদের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি৷ এজন্য দুই ভাইয়ের সাথে তাঁর সম্পর্কের অবনতিও ঘটেছিল, কিন্তু ভাই বলে বিদ্যাসাগর কোনও আপস করেননি৷ তাঁর একমাত্র ছেলে নারায়ণ যখন স্বেচ্ছায় বিধবাবিবাহ করতে এগিয়ে এসেছিল, তখন বিদ্যাসাগর খুশি হয়ে ছেলেকে সমর্থন ও সাহায্য করেছেন৷ আবার, সেই ছেলে যখন বিপথে গিয়েছে, বিবাহিতা স্ত্রীকে অপমান করেছে, বিদ্যাসাগর তখন একমাত্র ছেলেকেও ত্যাগ করেছেন, উত্তরাধিকারী হিসাবেও তাকে মনোনীত করেননি৷ এ নিয়ে স্ত্রী দিনময়ী বিদ্যাসাগরের প্রতি অভিমান করেছিলেন৷ কিন্তু বিদ্যাসাগর আপস করেননি৷ দিনময়ীকে তিনি সম্মান করতেন৷ অসংখ্য কাজের মাঝে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো তাঁকেও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি বলে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘‘…বিনয়বাক্যে প্রার্থনা করিতেছি যদি কখন কোন দোষ বা অসন্তোষের কার্য্য করিয়া থাকি, দয়া করিয়া আমায় ক্ষমা করিবে৷’’ দিনময়ীকে বিদ্যাসাগর যথোচিত মর্যাদা দিতেন, সেও নিছক স্ত্রী হিসাবে নয়৷ দিনময়ী মূলত ঘরকন্নার কাজে থাকলেও বিহারীলাল সরকার তাঁর গুণাবলী প্রসঙ্গে লিখে গেছেন, মানুষের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা এবং চারিত্রিক তেজস্বিতার কথা লিখে গেছেন৷
বিদ্যাসাগরের মেয়ে বিনোদিনীর সাথে বিয়ে হয়েছিল শিক্ষক সূর্যকুমার অধিকারীর৷ বিদ্যাসাগর এই জামাইকে খুব ভালবাসতেন তার নানা দক্ষতা–যোগ্যতার জন্য৷ ১৮৭৬ সালে মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনের সব দায়িত্ব তিনি সূর্যকুমারকে দেন৷ খুবই দক্ষতার সাথে সূর্যকুমার সে দায়িত্ব পালন করছিলেন৷ কিন্তু কিছুকাল পরে তহবিল সংক্রান্ত একটা সমস্যা দেখা দেয়৷ সূর্যকুমার টাকাপয়সার যথাযথ হিসাব দিতে ব্যর্থ হন৷ কোনও আপস না করে বিদ্যাসাগর সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইস্তফা দিতে বলেন এবং বৈদ্যনাথ বসুকে ওই পদে দায়িত্ব দেন৷
বিদ্যাসাগর বিধবাবিবাহের প্রবর্তক শুধু নন, কঠিন বাধা অতিক্রম করে অসংখ্য বিধবাবিবাহের ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন৷ বিধবাবিবাহ করবে বলে বহু লোক তাঁকে ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে৷ বিদ্যাসাগর বলেছেন, ঠকা ভাল কিন্তু ঠকানো ভাল নয়৷ এইরকম একটা পরিস্থিতিতে কোনও কারণে বীরসিংহে একটি বিধবাবিবাহে বিদ্যাসাগর মত দিলেন না৷ অথচ তাঁর দুই ভাই তাঁর সাথে কোনও আলোচনা না করে, কোনও কিছু তাঁকে না জানিয়ে, গ্রামের কয়েকজনের মদতে গোপনে সেই বিধবাবিবাহ দিয়ে দেন৷ এহেন নিকৃষ্ট আচরণের জন্য বিদ্যাসাগর খুব কষ্ট পান৷ আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের জন্য এত কিছু করা সত্ত্বেও তাদের থেকে এতটা অপমান তিনি কল্পনাও করতে পারেননি৷ গভীর দুখের সাথে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘এখানকার হাসপাতাল, স্কুল এবং অন্যান্য যেখানে যা সাহায্য আমি দিই তা যথারীতি দিয়ে যাব, কিন্তু বেঁচে থাকতে আর কোনোদিন এই গ্রামে আসব না৷’ বাস্তবে সেদিনের পর আর কোনোদিন বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর যাননি৷ পরবর্তী কালে কলকাতায় হঠাৎ করেই একদিন ‘বীরসিংহ জননীর পত্র’ নামে একটি পুস্তিকা তাঁর হাতে আসে৷ শোনা যায়, গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে ছাপানো পুস্তিকা আকারে এই দীর্ঘ পত্র লিখে বিদ্যাসাগরকে গ্রামে আসার সকাতর অনুরোধ করেছিলেন৷ এই লেখা পড়ে বিদ্যাসাগর গ্রামে যাবেন বলে স্থির করেছিলেন৷ কিন্তু শারীরিক অত্যন্ত অসুস্থতার কারণে আর যেতে পারেননি৷ (চলবে)