নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর (২২) — ব্রাহ্মসমাজ, ইয়ংবেঙ্গল ও বিদ্যাসাগর

 

নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর

ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে৷

(২২)

ব্রাহ্মসমাজ, ইয়ংবেঙ্গল ও বিদ্যাসাগর

‘‘কলেজের একটি ছাত্র ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিয়েছে৷ ফলে বাবা তার কলেজের মাইনে–টাইনে বন্ধ করে দিলেন৷ ছাত্রটি এল বিদ্যাসাগরের কাছে৷ সব কথা খুলে বলল৷ বিদ্যাসাগর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোন কলেজে পড়ো?

–আমি আপনারই মেট্রোপলিটান কলেজে প্রথম বার্ষিক শ্রেণীতে পড়ি৷

বিদ্যাসাগর বললেন– বাপু, আমি তো ব্রাহ্ম নই, আর ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে আমার কোনো যোগই নেই৷ যা হোক, তুমি ভালো বুঝে যে ধর্ম্ম ধরেছ তার উপর আমার কিছুই বলবার নেই৷

ছাত্রটিকে বিদ্যাসাগর প্রত্যেক মাসে দশটাকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন৷ মাসে–মাসে বিদ্যাসাগরের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে আসত ছাত্রটি৷’’ (করুণাসাগর বিদ্যাসাগর, ইন্দ্রমিত্র)

ইউরোপীয় নবজাগরণের যুক্তিবাদী মহাতরঙ্গ উনিশ শতকে ভারতবর্ষের মাটি ছুঁয়েছিল৷ রামমোহন রায় ছিলেন এই তরঙ্গের প্রথম বাহক৷ ভারতীয় সমাজে ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারাচ্ছন্নতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে তিনি সে সময় সবচেয়ে নৃশংস প্রথা সতীদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করেন৷ যার ফলে ১৮২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রথা বেআইনি ঘোষিত হয়৷ ইতিমধ্যে ১৮২৬ সাল থেকে হিন্দু কলেজ (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়)–কে ভিত্তি করে ডিরোজিও–র উদ্যোগে ইয়ংবেঙ্গলের যুক্তিবাদী আন্দোলন শুরু হয়৷ কিন্তু এর সদস্যরা হিন্দুধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে কিছুটা উগ্র পথ নেওয়ার ফলে সমাজে খুব প্রভাব ফেলতে পারেনি৷ এদের মধ্যে কেউ কেউ খ্রিস্টধর্মও গ্রহণ করেন৷ একই সময়ে, সমাজসংস্কার আন্দোলনের পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাসে একেশ্বরবাদকে ভিত্তি করে ১৮২৮ সালে রামমোহন রায়ের উদ্যোগে ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন শুরু হয়৷ কিন্তু, ইয়ংবেঙ্গল বা ব্রাহ্মসমাজ, শক্তি অর্জন করার আগেই ১৮৩০ সালে রামমোহন রায় সতীদাহ সংক্রান্ত আইনের পক্ষে লড়াই ও অন্যান্য কারণে ইংল্যান্ডে গিয়ে ১৮৩৩ সালে সেখানেই প্রয়াত হন৷ অন্যদিকে, ডিরোজিও অকালে প্রয়াত হন ১৮৩১ সালে৷ যদিও তাঁরা যে নতুন জীবনবোধের অভিঘাত সৃষ্টি করেছিলেন তার প্রভাব সমাজের শিক্ষিত অংশের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলল৷

এই প্রেক্ষাপটে ১৮২৮ সালে ৮ বছর বয়সে বিদ্যাসাগর কলকাতায় এসে পড়াশুনা শুরু করেন৷ কঠোর–কঠিন অধ্যবসায় ও অসাধারণ মেধার গুণে ১৮৩৯ সালে তিনি যখন ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি অর্জন করেন, মূলত তখন থেকেই তাঁর নামের চর্চা শুরু হয় সমাজের বিভিন্ন মহলে৷ ইয়ংবেঙ্গল ও ব্রাহ্মসমাজের প্রধান ব্যক্তিরা তাঁর নামের সাথে পরিচিত হতে থাকেন৷ এই বছরই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ব্রাহ্মধর্মের প্রচার ও ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশে, ‘তত্ত্ববোধিনী সভা’ গঠন করেন এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এতে যুক্ত করার উদ্যোগ নেন৷ রামমোহন ধর্মীয় সংস্কারের পথে হলেও যে দৃঢ়তায় হিন্দু সমাজের অচলায়তনকে আঘাত করেছিলেন, ব্রাহ্মসমাজের পরবর্তী নেতৃত্বের ভূমিকায় সেই দৃঢ়তার যেন কিছুটা অভাব ঘটে গেল৷ তাঁরা রামমোহনের চিন্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্মীয় গণ্ডির বেড়াজালকে ভাঙবার বদলে সেই চিন্তার গণ্ডিতেই আটকে থাকলেন৷ উদার ধর্মমত , জাতপাতের বিভেদের বিরুদ্ধতা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁদের মনোভাবের মধ্যেও বেদ–বেদান্ত উপনিষদের মন্ত্রই তাঁদের একমাত্র হাতিয়ার হল৷ তাঁরা ছিলেন মূলত সমাজের উচ্চকোটির মানুষ, সমাজের নিচুতলার অগণিত মানুষের সাথে তাঁদের নাড়ির যোগ ছিল না৷ একদিকে প্রগতিশীলতার কথা, জাতপাতের বিরুদ্ধতা, আবার প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যের প্রতি অতিরিক্ত জোর, তার সাথে আধ্যাত্মিক তত্ত্ব চর্চাতেই দীর্ঘ সময় ব্যয়, জনজীবনের মূল সমস্যা থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে রেখেছিল৷ সে যুগের উদীয়মান ভারতীয় বুর্জোয়া শ্রেণির বড় অংশের মধ্যে কাজ করছিল ধর্মীয় চিন্তা সম্বন্ধে দোদুল্যমানতা, আপসের মনোভাব৷ যে আপসের বিরুদ্ধে পার্থিব মানবতাবাদকে হাতিয়ার করে দাঁড়িয়েছিলেন বিদ্যাসাগর৷ যদিও একথা ঠিক, ব্রাহ্মসমাদের রক্ষণশীল অংশের বাইরে এই আন্দোলনের মধ্যে থাকা উদার বুদ্ধিজীবীরা বিদ্যাসাগরের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন৷

১৮৪১ সালে বিদ্যাসাগরের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হয় এবং ওই বছরই তিনি কর্মজীবন শুরু করেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগ দিয়ে৷ এই পর্বে তিনি, মূলত কর্মসূত্রে হলেও, জানার প্রবল আগ্রহের কারণে ইউরোপীয় সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান–সহ বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি বইপত্র ব্যাপকভাবে পড়া শুরু করেন৷ কলেজের পর তৎকালীন কলকাতার নামকরা অধ্যাপকদের বাড়িতে তিনি যেতেন ইংরেজি ভাষা, সাহিত্য ইত্যাদির চর্চা করতে৷ এইসূত্রেই আনন্দকৃষ্ণ বসুর বাড়িতে তাঁর পরিচয় ঘটে ব্রাহ্মসমাজের বিশিষ্ট সদস্য এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (১৮৪৩ সাল থেকে শুরু হয়)–র সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্তের সাথে৷ ব্রাহ্মসমাজের চিন্তাগত যে প্রভাব অক্ষয় দত্তের মননে প্রথম দিকে ছিল, বিদ্যাসাগরের সাথে যোগাযোগ এবং আলাপ–আলোচনার সূত্রে তার মধ্যে পরিবর্তন ঘটেছিল৷ অক্ষয় দত্ত নিজের লেখাগুলি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশ করার আগে বিদ্যাসাগরকে দেখতে দিতেন এবং বিদ্যাসাগর সেগুলির প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে দিতেন৷

ব্রাহ্মসমাজ যখন বেদান্তে কেন্দ্রীভূত, সে সময় বিদ্যাসাগর মনে বলছেন, ‘সাংখ্য–বেদান্ত ভ্রান্ত দর্শন৷’ অক্ষয় দত্ত এ নিয়ে গভীর পড়াশুনা করেছিলেন৷ ব্রাহ্মসভায় দাঁড়িয়েই তিনি বলেছিলেন ‘বেদ অপৌরুষেয় নয় এবং সে কারণে অভ্রান্তও নয়৷’ চিন্তা জগতের এই পার্থক্যের কারণে ১৮৫৫ সালের শেষের দিকে তত্ত্ববোধিনী থেকে অবসর নেন অক্ষয় দত্ত৷ যোগ দেন বিদ্যাসাগরের নর্মাল সুক্লে, অধ্যক্ষ পদে৷ অক্ষয় দত্ত পত্রিকা থেকে বেরিয়ে আসার পর বিদ্যাসাগরের সাথেও তত্ত্ববোধিনীর আর তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল না৷ ইতিমধ্যে ফোর্ট উইলিয়ামের কাজ ছেড়ে বিদ্যাসাগর সংসৃক্ত কলেজে যোগ দেন ১৮৪৬ সালের আগস্টে৷ কিন্তু কলেজের হালচাল দেখে সেপ্ঢেম্বর মাসেই সম্পাদককে একটি রিপোর্ট দেন, ‘নোটস্ অন দ্য সংসৃক্ত কলেজ’৷ এতে তিনি ভারতীয় ছাত্রদের পাশ্চাত্য যুক্তিবাদী দর্শন পড়াবার প্রস্তাব দেন৷ তিনি বলেন, সব ধরনের দর্শন পড়লে ‘‘আমাদের দর্শনের ভ্রান্তি ও অসারতা কোথায় তা বোঝা সহজ হবে’’৷

১৮৫০ সালের আগস্টে ‘সর্ব্বশুভকরী’ পত্রিকায় ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ শীর্ষক এক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশ করেন বিদ্যাসাগর৷ এতে নরনারীর সম্পর্ক ও বিবাহ বিষয়ে অনন্যসাধারণ আলোচনা তিনি করেছেন৷ একদিকে তীক্ষ্ণ মেধা অন্যদিকে গভীর অনুভূতিশীল হৃদয়বৃত্তি– ব্যক্তিত্বের এহেন উত্তাপ পেয়ে ইয়ংবেঙ্গল এবং ব্রাহ্মসমাজের বহু সদস্য বিদ্যাসাগরের প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হন৷ এঁরা অনেকেই বিদ্যাসাগরের চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন৷ নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাঁরা অনেকেই যথেষ্ট খ্যাতনামা লোক ছিলেন৷ যেমন, ইয়ংবেঙ্গলের প্রখ্যাত রামগোপাল ঘোষ৷ তাঁকে তাঁর বাবা বলেছিলেন, ‘হিন্দু ধর্মাচরণে তোমার বিশ্বাসের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা কর৷’ রামগোপাল বাবাকে বলেছিলেন, ‘‘আমি আপনার সব কথা মানতে পারি এবং আপনার জন্য যেকোনও দুঃখ সইতে পারি৷ কিন্তু মিথ্যা বলতে পারবো না৷’’ আরেক প্রখ্যাত ইয়ংবেঙ্গল রসিককৃষ্ণ মল্লিক৷ ছাত্র বয়সেই তিনি একটি মামলার সাক্ষী হিসাবে কোর্টে গিয়েছিলেন৷ সেখানে তখনকার নিয়মানুসারে তুলসিপাতা ও গঙ্গাজল ছুঁয়ে শপথ নিতে হত৷ রসিককৃষ্ণ এভাবে শপথ নিতে সরাসরি অস্বীকার করে বলেছিলেন, ‘‘আমি গঙ্গাজলের পবিত্রতায় বিশ্বাস করি না৷’’ এই ধরনের মানুষ ছিলেন তাঁরা৷ এঁরা অনেকেই নানা স্থানে সুক্ল, লাইব্রেরি ইত্যাদি গড়ে তুলেছেন৷ কালক্রমে তাঁরা হয়ে ওঠেন বিদ্যাসাগরের সব ধরনের সামাজিক কর্মসূচির সহায়ক এবং সাথী৷ এঁদের অনেকের সাথে বিদ্যাসাগরের ঘনিষ্ঠ আদানপ্রদান গড়ে ওঠে নানা কর্মসূত্রে৷ বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর কলকাতায় রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বিধবাবিবাহ৷ রামগোপাল ঘোষ, হরচন্দ্র ঘোষ, প্যারীচাঁদ মিত্র, কিশোরীচাঁদ মিত্র, দ্বারকানাথ মিত্র এবং শিবচন্দ্র দেব সহ অনেকেই সক্রিয়ভাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ এঁরা বিদ্যাসাগর সম্পর্কে বলতেন, ‘‘উনি একটা জায়েন্ট, যেমন হেড তেমনি হার্ট৷’’

বিদ্যাসাগরের এক অন্যতম জীবনীকার হলেন চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৫৮ – ১৯১৬)৷ ইনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের একজন বিশিষ্ট সদস্য৷ ব্রাহ্মসমাজের সাথে বিদ্যাসাগরের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও তিনি যেভাবে বিদ্যাসাগরের জীবনকাহিনী লিখেছেন তাতে তাঁর অন্তরের গভীর শ্রদ্ধাই ব্যক্ত হয়েছে৷ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জ্যাঠামশাই দূর্গামোহন দাস (১৮৪১ – ১৮৯৭) ছিলেন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি৷ তিনি বিদ্যাসাগরের বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলেন৷ তাঁর বিমাতা বালিকা বয়সে যখন বিধবা হলেন, তিনি আবার তাঁর বিবাহের উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক বাধার মুখে পড়েছিলেন৷ এই সময় আক্ষেপ করে বিদ্যাসাগরকে চিঠি লেখেন তিনি৷ বিদ্যাসাগরও সাথে সাথে তার জবাবে চিঠি লিখে দূর্গামোহনকে সাহস–উৎসাহ যোগান এবং শেষপর্যন্ত সেই বিয়ে সংঘটিত হয়৷ ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শিবনাথ শাস্ত্রী বিদ্যাসাগরের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন৷ নিজের অথবা অন্যের যেকোনও বিপদে–আপদে বিদ্যাসাগরই ছিলেন তাঁর প্রধান ভরসা৷ শিবনাথ শাস্ত্রী বিমুগ্ধ বিস্ময়ে বিদ্যাসাগর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘‘তিনি এক সময় নিজ তেজে সমগ্র বঙ্গসমাজকে কীরূপ কাঁপাইয়া গিয়াছেন তাহা স্মরণ করিলে মন বিস্মিত ও স্তব্ধ হয়৷’’ বিদ্যাসাগরের অনুবাদ ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ সম্পর্কে শিবনাথ শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘বেতাল বঙ্গসাহিত্যে এক নবযুগের সূত্রপাত করিল৷’’

বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজের নানা গোষ্ঠী বহুবার তাঁর স্মরণে সভা করেছে, তাঁর নানা দিক নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছে৷ ১৯২২ সালের ২ আগস্ট এরকমই একসভায় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘‘প্রতি বছর বিদ্যাসাগরের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বক্তারা তাঁর দানশীলতা নিয়ে কথা বলেন৷ কিন্তু তিনি তৎকালীন সমাজের রক্ষণশীলতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছিলেন সে বিষয়টা চাপা পড়ে থাকে৷ …বিদ্যাসাগর তাঁর সমকালীন সমাজের কাঠামোতে আঘাত করেছিলেন৷ সেইটিই তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্য এবং এই কারণেই তিনি আধুনিক৷’’   (চলবে)

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ২০ সংখ্যা)