১৮ ডিসেম্বর ৩ শতাধিক নৌকা নিয়ে ৪ সহস্রাধিক মৎস্যজীবী দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলী চিতড়ি ফরেস্ট ঘেরাও করেন৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জয়নগরের সিআই, কুলতলী ও মৈপীঠের ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী দুটি লঞ্চ নিয়ে এলে তারাও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে৷
সন্তান সহ বহু মা অবরোধে যোগ দেন৷ তাঁদের দাবি বিকল্প কাজের ব্যবস্থা না করে মাছ–কাঁকড়া ধরা বন্ধ করা যাবে না, বনদপ্তর ও টাইগার প্রজেক্টের কর্মীদের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে, মাছ ধরার সাজ–সরঞ্জাম ফেরত দিতে হবে, আটকে রাখা জাল–নৌকা ফেরত দিতে হবে, বনদপ্তরের অফিসারদের ঘুষ নেওয়া বন্ধ করতে হবে, ইত্যাদি৷ সকাল থেকে শুরু করে সারা দিন ঘেরাও চলে৷
রাত ৮ টা নাগাদ এডিএফও আলিপুর সেখানে পৌঁছান এবং পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয়কৃষ্ণ হালদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে তাঁর বৈঠক হয়৷ দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁরা দাবিগুলির যৌক্তিকতা মেনে নেন ও সিদ্ধান্ত হয়, যেভাবে মাছ–কাঁকড়া ধরা চলছে, সেভাবেই চলবে৷ যে খাঁড়িতে জল শুকিয়ে যায় সেখানে যন্ত্রচালিত নৌকা চলবে না, বাকি সব ছোট–বড় নদীতে যন্ত্রচালিত নৌকা চলবে, আটক রাখা জাল–নৌকা ফেরত দেওয়া হবে৷
আন্দোলনের এই জয়ে জয়কৃষ্ণ হালদার মৎস্যজীবীদের সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়েছেন৷