এ রাজ্যে কৃষকদের মূল সমস্যাগুলি সমাধানে রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই৷ সরকারি কিষাণমান্ডিগুলিতে সহায়কমূল্যে ধান কেনা হলেও টোকেন পাওয়া নিয়ে চলছে নানা দুর্নীতি৷ দীর্ঘ লাইন এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ায় কৃষকরা ঠিকমতো ধান বিক্রি করতে পারছেন না৷ এই জটিলতা সরকার দূর না করায় কৃষকরা ফড়েদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ সার–বীজ–কীটনাশক সহ কৃষি উপকরণের দাম আকাশছোঁয়া৷ সরকার তা নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকাই নিচ্ছে না৷ চাষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়াতে কৃষকরা ঋণের জালে জড়াচ্ছেন, অনেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন৷
বহু রাজ্য কৃষিঋণ মকুব করলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বিষয়ে নীরব৷ সেচের অভাবে বর্তমানে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ সেচের খরচ বেড়ে চলেছে ডিজেল এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ায়৷ অভাবগ্রস্ত কৃষকরা সময়মতো বিদ্যুতের বকেয়া বিল না মেটাতে পারায় বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে৷ এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের দাবিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটি ১৭ জানুয়ারি জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায়৷ কমিটির সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুণ্ডু বলেন, ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২৫০০ টাকা, সমস্ত গ্রামে ধানক্রয় কেন্দ্র স্থাপন, টোকেন দুর্নীতি বন্ধ করা, কৃষিতে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ সহ ১৫ দফা দাবিপত্র জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে৷ অবিলম্বে দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷