রাজ্য জুড়ে ১০ মার্চের ছাত্র ধর্মঘটে তৃণমূল গুন্ডাবাহিনীর ব্যাপক সন্ত্রাস ও আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এস ইউ সি আই (সি)-র রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি বলেন, ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে আন্দোলন এবং ধর্মঘট করার গণতান্ত্রিক অধিকার জনসাধারণের রয়েছে। অথচ ডিএ এবং শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে যে ধর্মঘটের আহ্বান জানানো হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে ধর্মঘট ভাঙার জন্য হুমকি, পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে ভীতি প্রদর্শন এমনকি রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনকারীদের উপর হামলা চালানো ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও রাজ্যের ৮২০৭টি স্কুল বন্ধ করার সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ছাত্র ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছিল। সিপিএম সরকারের আমলে যেমন করে পুলিশ প্রশাসন এবং দুষ্কৃতীদের দিয়ে এআইডিএসও কর্মীদের উপর অত্যাচার চালানো হত, ঠিক সেই ভাবেই এ দিনও প্রবল হামলা চালিয়েছে টিএমসিপি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিকেটিংরত কর্মীদের উপর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নৃশংস আক্রমণ চালিয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটায় দলের ও ছাত্র সংগঠনের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। মাথাভাঙায়, শিলিগুড়ি কলেজে, শিলিগুড়ি মহিলা কলেজে, আলিপুরদুয়ার, পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজে, বেলদা, দাঁতন, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা সহ বিভিন্ন জেলাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটে ডিএসও কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আক্রমণের শিকার হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য কমিটির ২ জন নেতা সহ রাজ্যে মোট ১৯ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়ে রাজ্যে ১২ জন ছাত্রকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কমরেড ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার স্বীকার করা এবং তাঁর সরকার ও দলের এই ধরনের স্বৈরাচারী আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।