বকেয়া ডি এ প্রদান, শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে ১০ মার্চ ধর্মঘট ঐতিহাসিক ভাবে সফল করার জন্য রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারী সহ শিক্ষকদের শাস্তিমূলক বদলি ও হাজার হাজার কর্মীকে শো-কজ করছে। তার প্রতিবাদে এআইইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস ২৬ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, ধর্মঘটের পর সরকার ন্যায়সঙ্গত ও আইনসঙ্গত তিনটি দাবি না মেনে ধর্মঘটী সরকারি কর্মচারী সহ শিক্ষকদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে শাস্তিমূলক বদলি ও শোকজ করছে, যা শুধু অগণতান্ত্রিক নয়, স্বৈরাচারের নামান্তর। সরকারের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করছে, সরকার এই আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে। এআইইউটিইউসি সরকারের এই প্রতিহিংসামূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের সকল নাগরিকের মতামত প্রকাশ, আন্দোলন গড়ে তোলা ও দাবি আদায়ের লক্ষে্য ধর্মঘট করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। সরকার ও সরকারি দলের ভীতি প্রর্দশন ও হুমকি উপেক্ষা করে এই ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগঠন সংগ্রামরত সকল ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক সহ সরকারি কর্মচারীদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
ধর্মঘট করার জন্য কর্মচারীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ দাস।