১৯৯১ সালে এ দেশের নবজাগরণের বলিষ্ঠতম প্রতিভূ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণের শতবার্ষিকীতে এক মহা আকরগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিল অল বেঙ্গল বিদ্যাসাগর ডেথ সেন্টিনারি কমিটি৷ ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘দ্য গোল্ডেন বুক অফ বিদ্যাসাগর’৷ ভারতীয় ও অন্যান্য বিদেশি ভাষাভাষী লেখক, গবেষকদের বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ রচনার অধিকাংশ সংকলিত হয়েছিল তাতে৷ ছিল গুরুত্বপূর্ণ বহু ছবি ও তথ্য৷ কালের নিয়মে সে বই আজ অমিল৷ পথিকৃৎ সাংস্কৃতিক সংস্থা এই অভাব পূরণের তাগিদে উদ্যোগ নেয় গ্রন্থটির পুনর্মুদ্রণের৷ পুরনো বইয়ের সংযোজনী হিসাবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ ও সামান্য সংশোধন সহ পুনর্মুদ্রিত বইটি ৬ নভেম্বর ২০২২ প্রকাশিত হল পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল কুমার চ্যাটার্জীর হাত দিয়ে৷
ভারত সভা হলের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গ্রন্থটির অন্যতম সম্পাদক অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়৷ তিনি এই বই প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন৷ অনুষ্ঠানে মূল বইটির প্রধান সম্পাদক মানিক মুখোপাধ্যায় তাঁর প্রেরিত বার্তায় বলেন, ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতা, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প রুখতে বিদ্যাসাগরের চিন্তার চর্চা আজ খুব জরুরি৷ বিমল কুমার চ্যাটার্জী বই উদ্বোধন করে বলেন, এই বইটি বাংলার ঐশ্বর্য৷ বিদ্যাসাগরকে চিনতে হলে এই বই সংগ্রহ করা দরকার৷ সারা বাংলা বিদ্যাসাগর দ্বি–শত জন্মবার্ষিকী কমিটির সম্পাদক কমল সাঁই বলেন, এই দেশে আজ আবার বিদ্যাসাগরের মতো চরিত্রের বড প্রয়োজন৷ উপস্থিত ছিলেন পথিকৃৎ পত্রিকার অন্যতম পরিচালক স্বপন ঘোষাল৷ প্রোগ্রেসিভ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সঙ্গীত পরিবেশিত হয়৷